লোভী প্রতিবেশী কেড়ে নিলেন প্রাণ

প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক জীবনকে সহজ করে। সুন্দর করে। তাই প্রতিবেশীর সঙ্গে পরিচিত হতে চায় সকলেই। চায় ভালো সম্পর্ক। মো. আক্তার হোসেনও ব্যতিক্রম নন। তিনি পরিচিত হন মো. আ. বাকের খান, মো. আ. রব ও মো. আবুল হাসেম নামের তিন প্রতিবেশীর সঙ্গে। সুসম্পর্কের সূত্রে তারা আক্তারের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। আসা-যাওয়া করতে করতে তারা চুরি করেন আক্তারের ২০ হাজার টাকা। আরও কিছু টাকার আশায় ছিনিয়ে নেন জীবনটাও।
যে আক্তারের কথা বলছি, তিনি রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বাসা নম্বর ২০৩/এ। পাশাপাশি মহল্লার ভাড়াটিয়া ছিলেন মো. আ. বাকের খান, মো. আ. রব ও মো. আবুল হাসেম। তিন মাস আগে তারা বাসা ছেড়ে দেন।
ঘটনার প্রায় এক মাস আগে বাকের খান আক্তার হোসেনের রুম থেকে বিশ হাজার টাকা চুরি করেন। পরে আক্তারের বাসায় আরও টাকা আছে এমন ধারণা করে বাকের ও তার দুই সহযোগী গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাত-পা বেঁধে, গলা, মুখ ও মাথায় গুরুতর আঘাত করে আক্তার হোসনকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় রাজধানীর দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. আ. বাকের খান ও তার দুই সহযোগী মো. আ. রব ও মো. আবুল হাসেমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি দারুস সালাম থানা এলাকার ভাড়া বাসায় খুন হন মো. আক্তার হোসেন। তার হাত-পা বেঁধে, গলা, মুখ ও মাথায় গুরুতর আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়। এরপর রুমের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে সু-কৌশলে পালিয়ে যান খুনিরা।
তিনি আরও বলেন, ঘাতকেরা কয়েকদিন আগে বাসা বদলে চলে যান। তবে মাঝে মাঝে আক্তারের বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার প্রায় এক মাস আগে বাকের খান ২০ হাজার টাকা চুরি করেন আক্তার হোসেনের রুম থেকে। পরে বাকের এবং তার দুই সহযোগী রব ও আবুল হাসেমের ধারণা হয় আক্তারের বাসায় অনেক টাকা পয়সা থাকতে পারে। এ ধারণার প্রেক্ষিতে তারা টাকার লোভের এসে আক্তারকে হত্যা করেন।
এমএসি/এইচকে