বিলম্বে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ক্ষতিপূরণ চান মালিকরা
বিলম্বে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ক্ষতিপূরণসহ নানা দাবিতে মানববন্ধন ও র্যালি করেছে রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এ মালিক কল্যাণ সমিতি। শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্টে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক এ মালিক কল্যাণ সমিতির প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাবিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় ১০ ভাগ ফ্ল্যাট মালিকও তাদের ফ্ল্যাটে উঠতে পারেননি। অথচ তারা বাড়ি ভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ ব্যাংকের ঋণও পরিশোধ করছেন। অবশিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম কিস্তির জন্য প্রতিদিন তাদের ৯ শতাংশ হারে যথাক্রমে ৭০১, ৫২৫ দশমিক ৭৫, ৩৫০ দশমিক ৫০ ও ৭৭৫ দশমিক ২৫ টাকা করে সুদ গুনতে হচ্ছে। যেখানে এখানকার ফ্ল্যাট ভাড়া ১০ হাজারের নিচে, সেখানে ১৬৫০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের বিপরীতে প্রতিমাসে সর্বোচ্চ সুদ আসছে ২১ হাজার টাকা। ফ্ল্যাট মালিকরা ঠিকমত কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেওয়ায় তিন বছরের ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রত্যেককে প্রায় ১১ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিপূরণের অর্থ পরবর্তী কিস্তিগুলোর সঙ্গে বা রেজিস্ট্রেশনের সময় সমন্বয় করা আবশ্যক। তৃতীয় থেকে পরবর্তী পর্যায়ের আবেদনকারীরা ফ্ল্যাটে উঠার পর অবশিষ্ট অর্থে আট কিস্তি পরিশোধের সুযোগ লাভ করেছেন। অথচ প্রথম পর্যায়ের আবেদনকারীদের এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, যা বৈষম্যমূলক। বিজ্ঞপ্তিতে ড. আমিনুল হক বলেন, করোনার মধ্যেও সুদ আদায় করা এবং সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকায় অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য বিভিন্ন ফ্ল্যাট মালিকদের কিস্তি দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় আনা উচিত।
প্রকল্পের ভেতরে কোনো বাণিজ্যিক স্কুল না করে পার্শ্ববর্তী স্থানে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুলের শাখা প্রতিষ্ঠা, অবিলম্বে উত্তরা ১২ নম্বর খালপাড় থেকে প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত বাকি রাস্তাঘাট সংস্কার, এয়ারপোর্টে ও মিরপুর ডিওএইচএস এরসঙ্গে সংযোগ সড়ক চালু, পাইপলাইনে তিতাসের প্রিপেইড মিটার গ্যাস সংযোগ চালু, পার্কিং সংকটের সমাধান ও পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইটসহ বিভিন্ন ভবনের অবকাঠামোগত ক্রুটি বিচ্যুতি দূর করতে বিজ্ঞপ্তিতে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এএসএস/আরএইচ