ক্ষুদে বার্তায় বাংলা ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে

এসএমএস বা ক্ষুদে বার্তায় বাংলা ভাষা ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে অর্ধেক খরচে বাংলা ক্ষুদে বার্তা চালুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের টেলিকম খাতের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি এ আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারকে বাংলায় ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে এ সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মোস্তাফা জব্বার। এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলায় ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আগে ইংরেজি ও বাংলায় ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে খরচ একই হতো। কিন্তু আজ থেকে ইংরেজির তুলনায় বাংলায় অর্ধেক খরচ পড়বে।
মন্ত্রী বলেন, এখন সব শ্রেণী-পেশার মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু সবাই ইংরেজি পড়তে পারেন না। বাংলা ভাষায় ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে সব মোবাইল অপারেটরের গুরুত্ব দিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, এর আগে আমরা কাগজে আদেশ দিয়েছি। কিন্তু তা কাজে আসেনি। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা বিষয়টি তুলে ধরেছি, যেন সবাই এ সেবাটি পান।
সব জায়গায় বাংলায় দাপ্তরিক যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইন্টারনেটে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা ছিল। কিন্তু আইক্যান ও ইউনিকোডের সঙ্গে সরকারের সুদৃঢ় উদ্যোগের ফলে তা সমাধান হয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, এই প্রথম দেশের সব মোবাইল অপারেটর একসঙ্গে মিলে একটি কাজ সম্পাদন করলো। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আজ থেকে বাংলায় ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে টেলিটক ও গ্রামীণফোন গ্রাহকদের খরচ হবে ২৫ পয়সা (সাথে ভ্যাট ও ট্যারিফ)। আগামী মার্চ মাসের ১৫ তারিখ রবি আর ৩১ মার্চ এর মধ্যে বাংলালিংক গ্রাহকরাও এ সুবিধা পাওয়া শুরু করবেন।
এর আগে গ্রাহকদের প্রতিটি ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে খরচ হতো ৫০ পয়সা (ভ্যাট ও ট্যারিফ ছাড়া)। এখন থেকে বাংলায় ক্ষুদে বার্তা পাঠাতে সর্বোচ্চ খরচ পড়বে ২৫ পয়সা (ভ্যাট ও ট্যারিফ ছাড়া)। কোনো মোবাইল অপারেটর চাইলে এর নিচেও চার্জ কাটতে পারে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আফজাল হোসেন, বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায়, কমিশনের সিসটেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজসহ দেশের বেসরকারি খাতের টেলিকম খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
একে/আরএইচ