পদ্মা সেতুর জন্য থেমে ছিল কিডনি প্রতিস্থাপন

পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচরীরা কাজ করেছেন। আমি সবার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি বলেছেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. শফিকুল ইসলাম। ডেপুটি পরিচালক ছিলেন কামরুজ্জামান। এক বছর আগে তার (কামরুজ্জামান) কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের কথা। কিন্তু সেতুর উদ্বোধনের জন্য তিনি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করেননি। উদ্বোধনের পর তিনি চিকিৎসায় যাবেন।
সচিব বলেন, আমরা গর্ব অনুভব করি, কামরুজ্জামানের মতো এমন সৎ, ডেডিকেটেড মানুষ আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এরপর আনোয়ারুল ইসলাম আরও কয়েকজন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।
পদ্মা সেতু ১০০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে নির্মাণ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে উভয় পাড়ে যারা এসেছেন তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা। এই সেতুটি ১০০ বছরের গ্যারান্টি দিয়ে নির্মাণ হয়েছে। এই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণে আমাদের সবাইকে সহযোগীতা করতে হবে।
এর আগে পদ্মা সেতু উদ্বোধনে মাওয়ায় আয়োজিত সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন বাহিনীর প্রধান, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। সেখানেই স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে মাওয়ায় স্থাপিত টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। সেখানে মোনাজাতে অংশ নেবেন সরকারপ্রধান। পরে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর পৌনে ১২টায় জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানে মোনাজাতেও যোগ দেবেন তিনি।
দুপুর ১২টায় মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৫টায় হেলিকপ্টারে জাজিরা প্রান্ত থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এএসএস/এমএইচএস