ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে নীলসাগর এক্সপ্রেস আটকে পড়ায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আর কোনো যাত্রীবাহী ট্রেন এখন পর্যন্ত ঢাকা ছাড়তে পারেনি। যার ফলে ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দর স্টেশনে পুলিশ গেছে। যেহেতু ঢাকা থেকে বের হওয়ার রোডে ট্রেন দাঁড়ানো আছে। তাই কমলাপুর থেকে আমরা আর কোনো ট্রেন চালাতে পারছি না। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় যাবৎ ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
জানা গেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বিমানবন্দরের কাউন্টারে গেলে তাদের ৪টি টিকেট দেওয়া হয়। এটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুকিং সহকারীদের বাগবিতণ্ড হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা চিলাহাটিগামী নীল সাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে অবরোধ তৈরি করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ট্রেনটি এখনও বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়ানো আছে।
• আরও পড়ুন : টিকিট ক্রয়ে সহজের হয়রানি বন্ধসহ ৬ দাবি সেই রনির
রেলের অব্যবস্থাপনা রোধে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মহিউদ্দিন রনি। দাবি আদায়ে গতকাল তিনি লংমার্চ করেন ।
গত ১৩ জুন রাজশাহী ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢাকা-রাজশাহীর টিকিট কাটার চেষ্টা করেন তিনি। অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেমে বিকাশ থেকে ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠানো হয়। কিন্তু পিন নম্বর দিয়ে সেটি নিশ্চিত করার আগেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে টিকিটের মূল্য কাটা হয়। ঘটনার পর রনি দ্রুত কমলাপুর রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে কারণ হিসেবে জানানো হয়, সিস্টেমের কারণে এমন হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না পেলে অভিযোগ করতে বলা হয়।
রনি জানান, অথচ তখন তার চোখের সামনে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তার বুকিং করা ৬৮০ টাকার আসনটি আরেক যাত্রীর কাছে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন স্টেশনের কম্পিউটার অপারেটর। এরপর ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে ১৪ এবং ১৫ জুন দুই বার অভিযোগ করেন।
এমএইচএন/এনএফ