চট্টগ্রামে একে-২২সহ ৬টি অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ আগস্ট ২০২২, ০৪:৪৫ পিএম


চট্টগ্রামে একে-২২সহ ৬টি অস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

চট্টগ্রামে রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দুইটি অত্যাধুনিক-একে ২২ রাইফেল, ইতালির তৈরি একটি ৭.৬৫ পিস্তল, থ্রি নট থ্রি রাইফেল একটি, একটি এক নলা বন্দুক, একটি এলজি ও বিপুল পরিমাণ বুলেটসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- মো. নুরুল আবছার, কামরুল হাসান টিটু ও গিয়াসউদ্দিন বাবলু। পুলিশ বলছে গ্রেপ্তার হওয়া কামরুল হাসান টিটু হচ্ছে এর মাস্টারমাইন্ড। 

বুধবার ( ১৭ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম  রাশিদুল হক বলেন, কামরুল হাসান টিটুর বাড়ি থেকেই বেশিরভাগ অস্ত্র পাওয়া গেছে।  যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ভাই বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সঙ্গে  কামরুলের একটি কানেকশন রয়েছে। আরেকজন ব্যক্তি দুবাই থাকেন, তিনিও তাদের বিভিন্ন বিষয়ে ইন্ধন দিচ্ছেন। সন্ত্রাস কবলিত যে জনপদ এখন একটি শান্তির জনপদে পরিণত হয়েছে। সেই শান্তির জনপদকে আবারও উত্তপ্ত করার একটি প্রচেষ্টা চলছে বলে আমাদের কাছে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলবে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেই বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। 

আরও পড়ুন : ভাইরাল সেই যুবলীগ নেতার অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল

তিনি বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তাদের কি পরিকল্পনা ছিল, তাদের সঙ্গে কারা জড়িত তা তদন্ত করে বের করা আনা হবে। সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাউজানের নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রগুলো উদ্ধার ও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  

আরও পড়ুন : পার্সেল আসার আগেই পিস্তল প্রেরক রাজীব দেশে, তাকে খুঁজছে পুলিশ

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার কামরুল হাসান টিটুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তারা অস্ত্রগুলো দিয়ে বিভিন্ন সময় ডাকাতিও করত। ডাকাতির পাশাপাশি আর কী উদ্দেশ্য ছিল তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। হাটহাজারী, ফটিকছড়ি ও রাউজান এক সময় সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ছিল। বর্তমানে শান্তি এসেছে সেসব এলাকায়। এসব এলাকায় যারা ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা বিভিন্ন সময়ে জেলে ছিলেন, কেউ কেউ জামিন পেয়েছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর, সুজন চন্দ সরকার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএম/এনএফ

Link copied