ক্ষণগণনা শুরু, ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করতে হবে রসিক ভোট

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে এ সিটির ভোটগ্রহণ। ১৯ আগস্ট থেকে রসিক ভোটের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ ১৯ আগস্ট থেকে আগামী ১৮০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে রসিক ভোট।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ রংপুর সিটিতে নির্বাচন হয়েছিল ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেকোন সিটির মেয়াদ ধরা হয় প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর, তাই এ সিটিতে নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো সিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করতে হয়। এক্ষেত্রে এই সিটি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে ১৯ আগস্ট। অর্থাৎ রসিক সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
ইসি কর্মকর্তারা আরও জানান, ভোট নিয়ে এখনো কমিশন বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে প্রাথমিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগের নির্বাচনের তথ্যগুলো একীভূত করা হয়েছে। কমিশন চাইলেই যেন দ্রুততার সঙ্গে নথি উপস্থাপন করা যায়। এবারও এই নির্বাচনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হতে পারে।
ইসি জানায়, ২০১৭ সালের রংপুর সিটির পুরো নির্বাচনে ভোট নেওয়া হয়েছিল ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে কেনা অধিকতর উন্নত এই ভোটযন্ত্রের ব্যবহার ছিল মূলত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রায়াল। কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন ওই নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে ব্যাপক সফলতা পায়। কোনো প্রকার নির্বাচনী সহিংসতা ছাড়াই ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নগরিপতা নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয় ২০১২ সালের ২৮ জুন। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝণ্টু প্রথম নগরপিতা হিসেবে নির্বাচিত হন। রংপুর সিটির বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। আর ভোটার রয়েছে চার লাখের বেশি। ২০১৭ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন।
এসআর/এসএম