চক্রটির টার্গেট ছিল উচ্চবিত্তদের সন্তান

ঢাকার আশুলিয়া থেকে আলী হোসেন নামে ৬ বছরের এক শিশুকে অপহরণের পাঁচদিন পর উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. জাকির হোসেন (২১) ও শান্ত মিয়া (২৯)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা র্যাবকে জানান, শিশুটির মুক্তির জন্য পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন তারা। অধিক মুক্তিপণের আশায় বেছে বেছে তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের টার্গেট করে অপহরণ করতেন।
সোমবার (১ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে র্যাব ৪ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সুনির্দিষ্ট বিকালে ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা শিশু মো. আলী হোসেন অপহৃত হয়। পরে তাকে রাজধানীর বাইপাইল ও সায়েদাবাদ হয়ে চট্রগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পরের দিন অপহরণকারী চক্র মোবাইল ফোনে দুইদিনের সময় দিয়ে শিশুটির বাবা-মার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চক্রটি। রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) র্যাব ৭ এর সহায়তায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সেকেন্দার কলোনী এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে ও অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গ্রেপ্তার অপহরণকারী মো. জাকির হোসেন ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া। তিনি ও তার সহযোগী স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। চক্রটির মূলহোতা পলাতক আসামি মো. সোহান গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে মুক্তিপণের টাকা ভাগাভাগির চুক্তি করে শিশুটিকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন।
তিনি বলেন, অপহরণের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পলাতক সোহান ভিকটিম শিশুটিকে চিপস ও খেলনা কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেন। এরপর গ্রেপ্তারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ও পরবর্তীতে বাসযোগে চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার জাকিরের চাচার বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন। এক পর্যায়ে চক্রের মূলহোতা পলাতক সোহান ভিকটিমের বাবার সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে দর-কষাকষি করে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেন।
এমএসি/আরএইচ