ব্ল্যাকআউট : এবার ৪ বিতরণ কোম্পানির পৃথক তদন্ত কমিটি

গত ৪ অক্টোবরের গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় বিতরণ প্রান্তে কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না, তা জানতে নতুন করে চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) বিতরণ কোম্পানিগুলো এই কমিটি গঠন করেছে। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) এবং পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)।
ডিপিডিসি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রধান প্রকৌশলী (গ্রিড) এ এইচ এম মহিউদ্দিনকে। ডেসকোর তিন সদস্যের কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রধান প্রকৌশলী (নেটওয়ার্ক অপারেশন) মো. মনজুরুল হককে। পিডিবির চার সদস্যের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেনকে। আরইবির কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী (পওপ) মো. মহিউদ্দীন। প্রতি কমিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের একজন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধিতে এনএলডিসির (ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার) নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করে অতিরিক্ত লোড গ্রহণ করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ নিয়ে ৪ অক্টোবর গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সংখ্যা দাঁড়াল সাতে। ঘটনার পর পরই পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়।
এরইমধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তদন্ত রিপোর্ট জমা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্বে অবহেলার কারণে পিজিসিবির দুই কর্মকর্তাকে গত ১৬ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর জাতীয় গ্রিডের ইস্টার্ন অঞ্চলে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ) বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। এ ঘটনার পর বিদ্যুৎ সঞ্চালন স্বাভাবিক হতে প্রায় ৮ ঘণ্টা সময় লাগে।
জেডএস
