কোকেন মামলায় তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সূর্যমুখী তেলের আড়ালে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বন্দরের সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নেজাম উদ্দিনসহ তিনজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার (০৩ মার্চ) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য দেওয়া অপর দুজন হলেন- মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মাহবুবুর রহমান। এরা দু’জন মামলার অন্যতম আসামি গোলাম মোস্তফা সোহেলের প্রতিবেশী।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া শেষে আদালত আগামী ১৪ মার্চ পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন। এ পর্যন্ত মামলাটিতে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় করা মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আলোচিত এই মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, আতিকুর রহমান, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে এম আজাদ যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া এবং সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম। মামলায় র্যাবের সম্পূরক অভিযোগপত্রে এই ১০ জনকেই আসামি করা হয়েছিল।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় সংশ্লিষ্টরা। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা করে পুলিশ।
কেএম/জেডএস