মশার ওষুধ কেনার চুক্তি সম্পাদনে বিরত থাকতে বলল সিপিটিইউ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মশার ওষুধ সরবরাহে সর্বনিম্ন দরদাতাকে বাদ দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে মশার ওষুধ সরবরাহের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টিতে অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগে মশার ওষুধ সরবরাহের একটি টেন্ডারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)।
সম্প্রতি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক শোহেলের রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা বরাবর পাঠানো হয়।
ওই আদেশে দরপত্রের বিষয়ে রিভিউ প্যানেল বরাবর আপিল দায়ের হওয়ায় করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, এমআর এন্টারপ্রাইজ নামক দরদাতা প্রতিষ্ঠান পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৫৮ অনুযায়ী গঠিত রিভিউ প্যানেল বরাবর আবেদন করেছেন। বিধি অনুযায়ী সরকার কর্তৃক গঠিত রিভিউ প্যানেল থেকে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ৫৯ বিধি অনুযায়ী চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইডিং (টেমফোস-৫০ ইসি) ওষুধ সংগ্রহ করার জন্য দরপত্র আহ্বান করে ডিএনসিসি। এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রতি লিটার ওষুধের দাম এক হাজার ৬৯৪ দশমিক ৯৯৫ টাকা করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয় এমআর এন্টারপ্রাইজ। এক হাজার ৭৭৭ দশমিক ০০১ টাকা করে দ্বিতীয় স্থানে ছিল দ্য লিমিট অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস লিমিটেড। আর এক হাজার ৭৯০ দশমিক ৮০১ টাকা করে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে ছিল মেসার্স মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কিন্তু সর্বনিম্ন দরদাতা এমআর এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ না দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ওই ওষুধ সংগ্রহে সর্বোচ্চ দরদাতা মার্শাল অ্যাগ্রোভেটকে কার্যাদেশ দেয়। এতে ডিএনসিসির কয়েক কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়।
এ অবস্থায় অনিয়ম হয়েছে এমন অভিযোগে মশার ওষুধ সরবরাহের এই টেন্ডারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। পাশাপাশি বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে ডিএনসিসির প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো. সগীর হোসেনের সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এএসএস/ওএফ