ডেট্রয়েট সিটি ও ডিএনসিসির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট সিটির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে ডেট্রয়েট সিটি। অন্য দিকে বাংলাদেশেরও উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করতে পারবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
ডেট্রয়েট সিটি ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইকেল ই দুগান ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট নগরীর সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এ তথ্য জানিয়েছেন।
চুক্তির আওতায় নগরের পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজসহ নগর উন্নয়নের সবগুলো সেক্টরে সহায়তা করবে ডেট্রয়েট। এর মাধ্যমে ঢাকা যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এ চুক্তি আধুনিক ঢাকা গড়তে যেমন সহায়তা করবে পাশাপাশি শুধু ডেট্রয়েটই নয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিগগিরই ডেট্রয়েটের মেয়র বাংলাদেশ সফরে আসবেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটি এবং বাংলাদেশের ডিএনসিসির সাথে সমঝোতা সিস্টার সিটির স্বারক স্বাক্ষরিত হলো। এটি একটি যুগান্তকারী দিন। এতে প্রমাণিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ডেট্রয়েট ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। ঢাকাও ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। কাজেই এ চুক্তি আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সিস্টার সিটি চুক্তির অর্থ হলো তাদের ভালো দিকগুলো আমাদের দিতে চায়। আবার আমরা আমাদের ভালো দিকগুলো তাদের দিতে চাই। তারা আমাদের ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে কিভাবে আমরা অধিক জনঘনত্বের শহরকে পরিচালিত করি। কারণ ডেট্রয়েট সিটির জনঘনত্বও বাড়ছে যা তাদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ডেট্রয়েট সিটির মেয়র জানিয়েছেন এক সময় তাদেরও ক্যানেলগুলোর খারাপ অবস্থা ছিল। তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। আমরা কিভাবে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ডেট্রয়েট সিটির মেয়র কথা দিয়েছেন, তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ আসবেন। তার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই কথা হবে। প্রয়োজনে তারা তাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেট্রয়েট সিটির ডেপুটি মেয়র টোডা এ ব্যাটিসন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এহসান তাকবীম, সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স কাউসার খান প্রমুখ।
এএসএস/এফকে