স্বামীর দেওয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া সেই গৃহবধূর মৃত্যু

স্বামীর দেওয়া কেরোসিনের আগুনে ঝলসে যাওয়ার তিন দিন পর মারা গেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানার মোহাম্মদপুরের ফাতেমা বেগম (২৩)।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢাকা পোস্ট-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ওবাইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই ঘটনার পরপরই রোববার (১৪ মার্চ) ফাতেমার বাবা আবদুল গফুর ভূজপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সোমবার (১৫ মার্চ) অভিযুক্ত (স্বামী) ইমাম হোসেন ও তার পিতা আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আদালতে নেওয়া হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝগড়া হতো। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশও করা হয়েছে। রোববার রাতে স্বামী ইমাম হোসেনের দেরিতে বাড়ি ফেরা নিয়ে স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম ফাতেমার শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেন। এতে ফাতেমার মুখমণ্ডলসহ প্রায় ৭৫ শতাংশ পুড়ে যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রতিবেশীরা প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওইদিনই তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। পরে আজ সকালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফাতেমার দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। পরপর দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে প্রায়ই কটূক্তি করতেন।
কেএম/এফআর