জাল নকশায় ভবন!

ছবি : সংগৃহীত
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
পুরান ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১০ সালে। তা-ও ভয়াবহ একটি অগ্নিকাণ্ডের পর। নিমতলীর সেই আগুনে মারা যান অন্তত ১২৪ জন। কথা ছিল, একটি রাসায়নিক শিল্পপার্ক হবে, সেখানে রাসায়নিক ব্যবসায়ীরা তাদের গুদাম সরিয়ে নেবেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
তিন মন্ত্রীও পারলেন না
উদ্যোগের পর ১৩টি বছর পেরিয়ে গেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের দুজন মন্ত্রীর মেয়াদ শেষ হয়েছে—দিলীপ বড়ুয়া ও আমির হোসেন আমু। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের মেয়াদও শেষের পথে। মন্ত্রণালয়টিতে আটজন সচিব বদলেছেন। কিন্তু রাসায়নিক শিল্পপার্ক এখনো তৈরি হয়নি।
গবেষণার প্রধান লক্ষ্যই হলো নতুন জ্ঞান সৃজন। বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবিত জ্ঞান, প্রযুক্তি ও পণ্যের স্বত্ব সংরক্ষণে ‘পেটেন্ট’ গ্রহণ করতে হয় গবেষকদের। যদিও বাংলাদেশের গবেষণা খাতে পেটেন্ট গ্রহণের সংস্কৃতি গড়ে উঠছে না।
বণিক বার্তা
দেশে গবেষণায় গড়ে ওঠেনি পেটেন্টের সংস্কৃতি
প্রতি বছরই বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন জার্নালে বাংলাদেশি গবেষকদের কয়েক হাজার বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। যদিও প্রকাশনার বিপরীতে পেটেন্ট গ্রহণ বা প্রাপ্তির হার খুবই নগণ্য।
আরও পড়ুন >>> দুর্ঘটনা নাকি খুন?
দীর্ঘদিন ধরেই সুশাসনের ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে দেশের ব্যাংক খাতকে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডলার সংকট ও আমানতকারীদের আস্থাহীনতা। আবার ঋণ সহায়তার শর্ত হিসেবে সরকারের ওপর খাতটি সংস্কার নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপও রয়েছে।
বণিক বার্তা
চতুর্মুখী সংকট সামলাতে পারবে তো দেশের ব্যাংক খাত?
দেশে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে ৬১টি ব্যাংক। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক আছে নয়টি। বেসরকারি খাতের ব্যাংকের সংখ্যা ৪৩। এসব ব্যাংক গড়ে উঠেছে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগে। এর মধ্যে ১০টি ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারায়। এর পাশাপাশি দেশে কার্যক্রম রয়েছে নয়টি বিদেশী ব্যাংকেরও।
রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বাংলামোটরে জাল নকশায় তৈরি করা হয়েছে ২০ তলা ভবন। সরকারের কাছ থেকে লিজ নেওয়া জমিতে অংশীদারি চুক্তিতে এই ভবনটি নির্মাণ করেছে নামকরা ডেভেলপার কোম্পানি ট্রপিক্যাল হোমস লিমিটেড।
যুগান্তর
জাল নকশায় নজরকাড়া ২০ তলা ভবন
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়েছে এই জালজালিয়াতির সার্বিক কার্যক্রম। ১০ কাঠা জায়গার ওপর চোখের সামনে নিয়ম ভেঙে ২০০১ সালে বহুতল ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।
বিভিন্ন কোম্পানি ৫০০ মিলিলিটারের বোতলজাত খাওয়ার পানির দাম বাড়িয়ে খুচরা বিক্রেতাদের প্রায় দ্বিগুণ লাভের সুযোগ করে দিয়েছে। সম্প্রতি এসব পানির বোতলের দাম পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছে বেশির ভাগ কোম্পানি।
কালের কণ্ঠ
খুচরা বিক্রেতাদের প্রায় দ্বিগুণ লাভের সুযোগ
খুচরা বিক্রেতাদের তথ্য মতে, এগুলোর মধ্যে ফ্রেশ কোম্পানির আধালিটার পানির বোতলের ২৪টির এক কেসের দাম আগে ১৯০ টাকা ছিল, এখন তা ২৫০ টাকা করা হয়েছে। এতে ফ্রেশ কোম্পানির কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি বোতল পানি কিনতে লাগে ১০ টাকা ৪১ পয়সা।
আরও পড়ুন >>> শহর যেন মৃত্যুফাঁদ
সরকারের শীর্ষ পর্যায় চায় সরকারি বা বেসরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হোক। বিশেষ করে সরকারি চাকরি সহজ করার জন্য গত এক যুগে নানা নির্দেশনা এসেছে সেখান থেকে। কিন্তু এলে কী হবে! ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি’।
দেশ রূপান্তর
চাকরি সহজ হয় না সহজে
সরকারি হোক বা বেসরকারি, চাকরির বাজারে ঘোর মন্দা না হলেও মন্দা চলছে। চাকরির বাজার যত সংকুচিত হচ্ছে, ততই কদর বাড়ছে বাঁকা পথের খেলোয়াড়দের। নিয়োগের খেলা বুঝে নিয়ে তারা নিজেদের পকেট ভরছে দুই হাতে। অথচ কয়েক বছর আগেও তারা শুধু সাধারণ নয়, অতি সাধারণ ছিল।
এছাড়া অন্তত হিসাব খাতাটি ফিরে পাওয়ার আশা; দেশে খাদ্যঘাটতি নেই; সাড়ে ৭ কোটি টাকার অঙ্ক মিলছে না; দক্ষিণ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচের প্রস্তাব; বাড়াতে হবে বেসরকারি বিনিয়োগ; যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।