যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার পর্যায়ে আসেনি বাংলাদেশ

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫ মার্চ ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম


যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার পর্যায়ে আসেনি বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।

বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটিজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 

তিনদিনের মাথায় দুটি ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো শঙ্কা ও বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মশিউর রহমানের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, যেটা ফেল করেছে, এটা একটা সত্য ঘটনা। যেটা ফেল করেনি তার দুর্বলতা থাকতে পারে। আমাদের ব্যাংকের আর্থিক খাতের দুর্বলতা থাকতে পারে, কিন্তু সেই দুর্বলতা এখনও সেই পর্যায় পৌঁছেনি।

আরও পড়ুন>>মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ধস নামল যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকে

রিজার্ভের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, রিজার্ভটাকে দেখতে হবে, আমদানির জন্য কত ব্যয় হবে তার একটা প্রজেক্টর। রপ্তানি থেকে রেমিট্যান্স কত আয় করতে পারব সেটা দেখতে হবে। আয়-ব্যয়ের সম্পর্ককে লক্ষ্য করে নির্ভর করে রিজার্ভ কত হবে।

তিনি বলেন, বিনিময় হারটা একটা সহনশীল স্থিতিশীল পর্যায়ে রাখতে হবে। সেজন্য রিজার্ভটা খুব বেশি নেমে যাওয়া ঠিক না আবার খুব বেশি রাখাও ঠিক না। আবার সোর্স ব্যবহার না করে রেখে দেবেন, দুটোর কোনোটাই ঠিক না। তবে এ সংখ্যাটা অর্থনীতির অবস্থার সঙ্গে কিছু কম বেশি হয়।  

দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বিনিয়োগের জন্য ব্যবস্থা আছে এবং ব্যবস্থা নেই। এটা নির্ভর করে কী পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে চাওয়ার ওপর। যদি বাংলাদেশে কেউ মনে করে ইলেকট্রিক গাড়িতে বিনিয়োগ করার মতো তার ক্ষমতা আছে অথবা সে সুযোগ সে পেয়েছে, কিন্তু এটাতে বিনিয়োগ করার মতো যথেষ্ঠ সুযোগ নেই। কারণ বাংলাদেশে উঁচু প্রযুক্তির পণ্যের বাজারটা খুব ছোট। বাইরে পাঠাতে গেলে অন্যদের সঙ্গে কমপিট (প্রতিযোগিতা) করতে হবে। অতএব এটা আছে, এটা নেই।

মশিউর রহমান বলেন, যদি কেউ শিল্প বা ব্যবসা-বাণিজ্য করে সম্পদ তৈরি করে তাহলে সে সম্পদের বিনিয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। যদি আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় সম্পদ আহরণ করে তাহলে মূল্য সঠিক রাখার জন্য আমাদের এক্সচেঞ্জ রেট যেটা আছে, বিনিময় হারটা স্থিতিশীল কিন্তু বাস্তবসম্মত রাখতে হবে।

বিআইআইএসএসের ‘গিগ ইকোনোমি অ্যান্ড বাংলাদেশ : অপরচুনিটিজ, চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারের সভাপতিত্ব করেন পলিসি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।

এনআই/কেএ

Link copied