দায়ীদের খুঁজে সেতু সচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে মানবাধিকার কমিশন

রাজধানীর বনানীতে উড়াল সড়ক থেকে রড নিচে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা অবহেলার নামান্তর বলে মনে করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশন বলছে, এই ঘটনা আরও বড় ধরনের জনবিপর্যয় ঘটাতে পারত। যার দায় কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়। ঘটনাটি তদন্ত করে এর পেছনে কারো কোনও দায় বা অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সচিবকে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে মানবাধিকার কমিশন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সই করা এক স্বপ্রণোদিত (সুয়োমটো) আদেশ জারি করেছে মানবাধিকার কমিশন।

মানবাধিকার কমিশন বলছে, রাজধানীর মহাখালী উড়ালসড়কের ওপর থেকে পড়া রড মাথায় ঢুকে ১২ বছর বয়সী এক শিশু মারা গেছে। গতকাল সোমবার (২৯ মে) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শিশুর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার পরনে ছিল কালো রঙের প্যান্ট ও ফুলহাতা সবুজ গেঞ্জি।

আরও পড়ুন>>এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর থেকে রড পড়ে কিশোরের মৃত্যু

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুল কাদের ইমন নামের এক পথচারী ওই শিশুকে উদ্ধার করেন। পরে অন্যান্যদের সহায়তায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। 

পুলিশ ও পথচারীরা বলছেন, সকালে উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটির মাথায় উপর থেকে রড পড়ে। রডের টুকরাটি শিশুটির মাথায় ঢুকে যায়। 

আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বেলা সোয়া ১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। 

উড়াল সড়ক থেকে রড পড়ে একজন শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও মর্মান্তিক। এ ধরনের ঘটনা পথচারীদের চলাচলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। এভাবে রড পড়ে মৃত্যুর ঘটনাটি কর্তৃপক্ষের অবহেলার নামান্তর। এই ঘটনা আরও বড় ধরনের জনবিপর্যয় ঘটাতে পারত। যার দায় কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব নয় বলে কমিশন মনে করে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন ভূমিকা পালন করা সমীচীন।

ঘটনাটি তদন্ত করে এর পেছনে কারো কোনও দায় বা অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন আকারে মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করতে সেতু বিভাগের সচিবকে বলা হয়েছে। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

জেইউ/কেএ