এখনো জমে ওঠেনি চট্টগ্রামের পশুর হাট

এখনো জমে ওঠেনি চট্টগ্রামের পশুর হাট। দাম বাড়তি থাকায় ক্রেতারা আরেকটু অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বেচা-বিক্রি কম হওয়ায় হতাশ বিক্রেতারা। চট্টগ্রামের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ব্যাপারিদের আশঙ্কা, বাজারে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় চোরাই গরু এলে দাম কমে যেতে পারে। এতে তারা ব্যাপক লোকসানে পড়ে যেতে পারেন।
নগরের বিভিন্ন বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা জানান, বাজারে পশুর খাদ্য ও ওষুধের দাম বেড়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ ও পরিবহন খরচ বেশি। এ কারণে উৎপাদনে খরচ বেড়েছে। চাইলে কম দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। বাজারে যা দাম চাওয়া হচ্ছে ক্রেতারা তার অর্ধেক দামও দিতে চাইছেন না।
নগরের সাগরিকা পশুর হাটে কুষ্টিয়া থেকে আসা ব্যাপারি বদিউল আলম বলেন, গরুর ক্ষেত্রে মণপ্রতি দামে গত বছরের চেয়ে ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা বেশি হবে। খামারিদের উৎপাদন খরচ বেশি হয়েছে। এজন্য দাম বেশি।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, একদিকে পশুর দাম বাড়তি। অন্যদিকে আগে নিলে বাসায় রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা। সব মিলিয়ে দাম কমার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা।
নগরের নুর হাউজিং সোসাইটি মাঠে আসা মনির উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, এ নিয়ে দুই বার বাজারে এসেছি। আমি আনুমানিক ৩ মণ ওজনের একটা গরু নেব। বিক্রেতারা এক লাখ ৩০ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাচ্ছেন। দেখি কি করা যায়।
কর্ণফুলী পশুর হাটের (মইজ্জারটেক এবং নুরনগর হাউজিং সোসাইটি মাঠ) ইজারাদার পক্ষের পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, বেচা শুরু হয়েছে। তবে এখনো পুরোপুরি জমেনি। ক্রেতারা আসছেন। তারা পশু দেখছেন। বাজারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ড্রোন সার্ভিস এবং ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে, যাতে চুরি-ছিনতাই না হয়। হাউজিং মাঠে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে ব্যবসায়ী এবং গরুর বিষয়ে নজরদারি রাখা যায়। রয়েছে পশু চিকিৎসকের একটি টিমও। বাজারে জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন বসানো হয়েছে। এখানে অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করার সুযোগ রয়েছে।
এদিকে নুর নগর হাউজিং ও কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক পশুর হাট পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, নগরের সব পশুর হাট সিসি ক্যামেরা ও ড্রোন দিয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। সড়কে গরুবাহী গাড়ি আটকানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জাল টাকা শনাক্তে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তাছাড়া রাস্তার আশপাশে গড়ে ওঠা কয়েকটি অবৈধ পশুর হাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। যেখানে বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে, তার বাইরে কেউ এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর/এসএসএইচ/