কৃষি মার্কেটে সাত ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

Dhaka Post Desk

নিজস্ব প্রতিবেদক

০৩ জুলাই ২০২৩, ০১:২২ পিএম


কৃষি মার্কেটে সাত ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা

কাঁচা মরিচের ঊর্ধ্বমূল্য ঠেকাতে দেশজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারই অংশ হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদেক খান কৃষি মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। বাজার ঘুরে কাঁচা মরিচের অতিরিক্ত মূল্য রাখা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় সাত ব্যবসায়ীকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা ধার্য করে তা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।

অভিযানের শুরুতে কাঁচা মরিচের দাম ২০০ টাকা কেজি রাখায় প্রথম ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অপরাধ ছিল তিনি কোনো মূল্য তালিকা এবং পণ্য কেনার ভাউচার দেখাতে পারেননি।

দ্বিতীয় ব্যবসায়ীকে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রির অভিযোগ ২০০০ টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়। তার ক্রয়মূল্যের ভাউচারে কাঁচা মরিচের কেজি দেখা গেছে ১৬৫ টাকা।

তৃতীয় ব্যবসায়ী ১৯৫ টাকা ক্রয়মূল্যের ভাউচার দেখাতে পেরে ২০০ টাকা বিক্রি করছেন বলে পার পেয়ে গেছেন। তর বিরুদ্ধে বেশি মূল্যে কাঁচা মরিচ বিক্রি করার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তার দোকানে বিক্রয়মূল্যের তালিকা না থাকায় তাকে আপাতত সতর্ক করা হয়েছে।

চতুর্থ ব্যবসায়ীকে কাঁচা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির অভিযোগে দুই হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করে আদায় করা হয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন ক্রেতা অভিযোগ জানিয়েছেন।

পঞ্চম ব্যবসায়ীসহ অন্য ব্যবসায়ীরা কেউ কেউ অতিরিক্ত মূল্য রাখা এবং মূল্য তালিকা না থাকায় এক হাজার টাকা করে জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।

মার্কেটে অন্যান্য ক্রেতাদের অভিযোগ ছিল, ভ্রাম্যমাণ আদালত আসার আগে এই বাজারে কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছিল। কিন্তু তারা আসার পর সেটি ২০০ টাকা কেজিতে নেমে গেছে। এ সময় ক্রেতাদের স্বাচ্ছন্দ্যে কাঁচা মরিচ কিনে নিতে দেখা গেছে। আর মুখ ভার ছিল ব্যবসায়ীদের।

অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুম আরেফিন বলেন, আমরা কারওয়ান বাজার থেকে এসেছি। কারওয়ান বাজারের মূল্য এবং সাদেক খান কৃষি মার্কেটের মূল্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা জরিমানা করেছি। আমরা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি পাইকারি দরে কিনতে দেখেছি কারওয়ান বাজারে। এখানে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছিল। 

তিনি আরও বলেন, ওনাদের মূল অপরাধগুলো হচ্ছে ওনারা যে পণ্য ক্রয় করেছেন সেই ক্রয়ের ভাউচারগুলো দেখাতে পারছিলেন না। একই সঙ্গে তাদের দোকানে কোনো মূল্য তালিকা রাখা হয়নি। আমরা তাদেরকে এ বিষয়ে বার বার সতর্ক করেছি কিন্তু সেগুলো তারা কর্ণপাত করেননি। বাজার অস্থিরতার বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময় চলতে থাকবে।

এমএইচএন/জেডএস

Link copied