ভুলে সাবান পানি দিয়ে এসিল্যান্ডের কাপড় ধোলাই, দোকানিকে জরিমানা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার এসিল্যান্ডের (সহকারী কমিশনার-ভূমি) কিছু কাপড় ড্রাইওয়াশের পরিবর্তে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলায় এক দোকানিকে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। পরে তাকে এক হাজার জরিমানা এবং ১০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এসিল্যান্ড কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী দোকানির নাম কিশোর দাশ। তিনি সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকার সানলাইট লন্ড্রির মালিক।
ঘটনার বিষয়ে কিশোর দাশ জানান, গত বুধবার কবির নামে এসিল্যান্ড অফিসের এক কর্মচারী তার দোকানে বেশ কিছু কাপড় দিয়ে যান। ওইসময় তিনি তার দোকানের পাশে সেলুনে ছিলেন। দোকানে এসে তিনি ব্যাগে থাকা স্যুটকোট ড্রাইওয়াশ করে বাকি কাপড় সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলেন। বৃহস্পতিবার সকালে এসিল্যান্ড অফিসের আরেক কর্মচারী ফারুক এসে শার্ট ফেরত চান। তিনি তখন শার্ট ধুয়ে দেওয়া হয়েছে জানালে ফারুক ক্ষিপ্ত হয়ে যান।
তিনি জানান, একপর্যায়ে দোকান বন্ধ করে আমাকে এসিল্যান্ড অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আটকে রেখে লাঞ্ছিত এবং গালিগালাজ করা হয়। এরপর আমার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। একই সঙ্গে স্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে বিকেলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মুচলেকায় নিজের পরিচয় উল্লেখ করে কিশোর লেখেন, ‘আমি সীতাকুণ্ড পৌর সদরে দীর্ঘদিন যাবত লন্ড্রির কাজ করছি। কিন্তু ভুলবশত কিছু কাপড় আমি ড্রাইওয়াশ না করে সাবান পানি দিয়ে ওয়াশ করে ফেলেছি। আমি আমার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ভবিষ্যতে কখনো এহেন কর্মকাণ্ড করিব না এবং অন্য কাউকে সহযোগিতা করব না মর্মে অঙ্গীকার করছি। অতএব মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন, আমার মুচলেকাখানা সাদরে গ্রহণ করে এবার এই অপরাধের দণ্ড হতে অব্যাহতি প্রদানের মর্জি হয়।’
এ বিষয়ে এসিল্যান্ড মো. আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনার সময়ে আমি কার্যালয়ে ছিলাম না। তবে অভিযুক্ত দোকানি দীর্ঘদিন ধরে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তাই তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। তবে জরিমানা করা হয়নি। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এমআর/জেডএস