অভিযুক্তদের দিয়েই প্রতিবেদন

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
ব্যক্তিগত তথ্য বলতে বোঝায়, মানুষের নাম, ঠিকানা, জন্মনিবন্ধন, মুঠোফোন–পাসপোর্ট নম্বর, আঙুলের ছাপসহ বিভিন্ন তথ্য, যা দিয়ে তাঁকে শনাক্ত করা যায়। এসব তথ্য বেহাত হলে প্রতারণা ও অপরাধের ঝুঁকির মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
সরকারকে বারবার ই-মেইল দিয়েও সাড়া পাইনি: ভিক্টর মারকোপোলোস
অন্য সব দিনের মতোই গত ২৭ জুন ভিক্টর মারকোপোলোস গুগলে কিছু খুঁজছিলেন। হঠাৎ তাঁর মনে হয়, কোথাও একটা ঘাপলা হচ্ছে। নেহাত কৌতূহল থেকে ইউআরএলে একটা শব্দ বদলে দেন ভিক্টর।
আরও পড়ুন >>> মশার আচরণগত পরিবর্তন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বড় চ্যালেঞ্জ
পার্বত্য তিন জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। গতকাল রোববার পর্যন্ত ৭২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। অথচ গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এ তিন জেলায় কোনো ডেঙ্গু রোগী ছিল না।
প্রথম আলো
পার্বত্য তিন জেলায় ম্যালেরিয়ার সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রকোপ
ম্যালেরিয়াপ্রবণ পার্বত্য এলাকায় ডেঙ্গুর বিস্তার এ অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। এদিকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
প্রতিরোধে কার্যকর গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশের ৬০ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবার জটিল হচ্ছে। মানুষ একই সঙ্গে ডেঙ্গুর একাধিক ধরনেও আক্রান্ত হচ্ছেন। আর কীটতত্ত্ববিদেরা বলছেন, পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি হওয়ায় এবার ডেঙ্গুতে বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
প্রথম আলো
ডেঙ্গু ছড়িয়েছে দেশের ৬০ জেলায়
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর গত দুই দশকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বছরের জুলাই মাসের শেষে বা আগস্টের শুরু থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর জুলাই মাসের শুরু থেকেই পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।
নির্বাচনের আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে ‘নির্দোষ সনদ’ পেতে দৌড়ঝাঁপ করছেন বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন এমপি। ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তি’ প্রমাণে ভোটের আগে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে তদবির করছেন।
সমকাল
দুদকের ‘নির্দোষ সনদ’ পেতে তৎপর অভিযুক্ত এমপিরা
দেড় বছরে বর্তমান ও সাবেক আট এমপিকে ‘নির্দোষ সনদ’ হিসেবে পরিচিত পরিসমাপ্তিকরণ চিঠি তথা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দুদক। অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বর্তমান ছয় এবং সাবেক আট এমপির বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই সরব যুক্তরাষ্ট্র। নীতিগতভাবে পশ্চিমা অন্য দেশগুলোর আকাঙ্ক্ষাও এক। কিন্তু এই দেশগুলোর বেশির ভাগই এককভাবে এ বিষয়ে কথা বলে না।
কালের কণ্ঠ
যুক্তরাষ্ট্র সরব, অন্যরা কৌশলী
আবার বৈশ্বিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীত বলয়ে থাকা কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অতি আগ্রহ ও ভূমিকার সমালোচনা করে আসছে।
সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষায় চলতি বছর প্রায় ২০৪ কোটি টাকার বাঁধের কাজ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষের চূড়ান্ত প্রতিবেদন (পোস্ট-ওয়ার্ক) তৈরি করেছেন বাঁধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ ওঠা সেকশন অফিসার (এসও) ও সার্ভেয়াররাই।
কালের কণ্ঠ
অভিযুক্তদের দিয়েই প্রতিবেদন
কৃষকদের অভিযোগ, অপ্রয়োজনীয়, অক্ষত, অল্প ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধে বরাদ্দ দিয়ে কাজের আগে প্রাথমিক প্রতিবেদন (প্রি-ওয়ার্ক) করেছিলেন যে এসও ও সার্ভেয়াররা, তাঁরাই পোস্ট-ওয়ার্ক করে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন >>> পাহাড়ি ঢলে ভাঙল বাঁধ : ফসল ডুবির দায় কার?
দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার আকার বেশ বেড়েছে। কিন্তু তাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসকদের নৈতিক দুর্বলতা। এতে সঠিক সেবাপ্রাপ্তিতে যেমন রোগীর নিজস্ব ব্যয় বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে অসন্তুষ্টি।
বণিক বার্তা
চিকিৎসকের পেশাগত নৈতিক দুর্বলতা সঠিক চিকিৎসা ও রোগীর সন্তুষ্টির অন্তরায়
সুস্থতার আশায় এখন যে পরিমাণ রোগী চিকিৎসকের কাছে যায় তাদের অর্ধেকই প্রাপ্ত সেবায় অসন্তুষ্ট। মূলত রোগীকে পর্যাপ্ত সময় না দেয়া, নির্দিষ্ট কিছু রোগ নিরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো, অপ্রয়োজনীয় ওষুধের পরামর্শ দেয়া ও কমিশন নেয়া, রোগীর অভিযোগ মনোযোগ সহকারে না শোনা এবং রোগীর প্রতি বৈষম্যের বিষয়গুলো সেখানে উঠে এসেছে বারবার।
দেশে বিদ্যুতের বর্তমান ইনস্টল ক্যাপাসিটি ২৪ হাজার ২৬৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ বাদে)। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ সক্ষমতায় যুক্ত হবে আরো অন্তত সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট।
বণিক বার্তা
২০২৫ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকবে
দেশে বর্তমানে (জুলাই ২০২৩) বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে গড়ে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। চলতি বছর বাদ দিয়ে ২০২৪ ও ২০২৫ সালে প্রতি বছরে ১০ শতাংশ হারে অর্থাৎ বছরে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট করে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট বছরে চাহিদা দাঁড়ায় ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। সে হিসাবে ২০২৫ সাল নাগাদ যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই অব্যবহৃত থাকবে।
এছাড়া দুর্লভ চলচ্চিত্র সংরক্ষণের পাশাপাশি নায়ক-নায়িকাদের স্মৃতিচিহ্নের দেখা মেলে যেখানে; ১২০ ফুট প্রশস্ত সড়কের সচল মাত্র ১০ ফুট; আবাসন খাত বিনিয়োগ হারানোর আশঙ্কায়; একদিনে ৬ জনের মৃত্যু, ব্যর্থ দুই মন্ত্রণালয়; সাইবার সিকিউরিটি অডিট প্রয়োজন; অপরাধী ধাওয়ায় নতুন গাড়ি চায় পুলিশ; তথ্য সুরক্ষায় চরম ব্যর্থতা; ঢাকায় শক্তি দেখাতে চায় বিএনপি সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
