বিপদে রেমিট্যান্সযোদ্ধারা, ভাড়া লাগছে ১০ গুণেরও বেশি

সরকারের অঘোষিত লকডাউন তথা কঠোর নির্দেশনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। গতকাল রোববার বাড়িফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল রাজধানীর বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে। এ অবস্থায় প্রবাস থেকে আসা রেমিট্যান্সযোদ্ধারাও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েও তারা কোনো বাহন পাচ্ছেন না। যারা পাচ্ছেন, গুনতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ।
সোমবার (৫ এপ্রিল) গাবতলী বাস টার্মিনালে কথা হয় শাহ আলম নামে এক তরুণের সঙ্গে। বিদেশফেরত চাচাকে নিয়ে তিনি যশোর যাবেন। কিন্তু কোনো গাড়ি পাচ্ছেন না। বাড়ি ফেরার আকুতি জানিয়ে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘আজ সকালে চাচাকে বিমানবন্দর থেকে রিসিভ করে গাবতলী এসেছি গাড়ি ধরার জন্য। কিন্তু গাবতলীতে এসে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন পাচ্ছি না। এখন কীভাবে চাচাকে নিয়ে বাড়ি ফিরব সেই চিন্তায় আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (রোববার) গাবতলী থেকে এয়ারপোর্ট গেলাম মাত্র ৩০ টাকায়। অথচ একদিনের ব্যবধানে একই পথে আজ এক হাজার গুনতে হচ্ছে।’
শাহ আলম বলেন, সবকিছু বন্ধ করে দিলে কীভাবে মানুষ চলাচল করবে? মরিশাস থেকে ঢাকায় আসতে চাচার বিমানের টিকিটবাবদ খরচ হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। দেশে এসে এখন ঢাকা থেকে গ্রামে যেতে লাগবে ১৫ হাজার টাকা।
‘কয়েকটা প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা ভাড়া চাইছে। সীমিত পরিসরে শুধু রাতেও যদি পরিবহন চলত তাহলেও আমাদের মতো মানুষের এভাবে পকেটকাটা হতো না।’
উল্লেখ্য, রোববার ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। বিধিনিষেধের মধ্যে সড়ক, রেল, আকাশ ও নৌপথে সবধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকছে।
এসআর/এমএআর/জেএস