কক্সবাজারের পৌনে ৬ হাজার পরিবারকে এলপিজি ও চুলা বিতরণ

কক্সবাজারের স্থানীয় পাঁচ হাজার ৭৭০ পরিবারের মধ্যে এলপিজি (তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস) সিলিন্ডার ও চুলা বিতরণ করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের স্থানীয়দের মাঝে এসব এলপিজি ও চুলা বিতরণ করা হয়।
ইউএনএইচসিআর বলছে, কক্সবাজার জেলার সবুজ বনাঞ্চল ফিরিয়ে আনার প্রয়াসের অংশ হিসেবে ২০১৮ সালে ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে এলপিজি বিতরণ শুরু করে। ২০১৯ সালে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএমের সঙ্গে এই কার্যক্রমে উখিয়া ও টেকনাফের স্থানীয় পরিবারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ হাজার স্থানীয় পরিবারকে এলপিজি সিলিন্ডার ও চুলা সরবরাহ করেছে সংস্থাটি। ইউএনএইচসিআর ও এর সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) সাম্প্রতিক এক পরীক্ষায় দেখা গেছে পুরো উখিয়া উপজেলায় জ্বালানী কাঠের চাহিদা শতকরা ৯২ ভাগ কমে গেছে। স্থানীয় পরিবারদের মাঝে এলপিজি ব্যবহারের হার শতকরা ৭ থেকে বেড়ে ২০ ভাগে দাঁড়িয়েছে। এতে জ্বালানী কাঠের চাহিদা ৫৩ ভাগ কমে গেছে।
কক্সবাজারের ৭১ হাজার পরিবারকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য ঠিক করেছে ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির সিনিয়র ফিল্ড/টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর চার্লস ক্যাম্পবেল বলেন, ‘এলপিজির মত পরিবেশবান্ধব জ্বালানী ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারকে পরিবেশ ও জ্বালানী খাতে সহায়তা করতে ইউএনএইচসিআর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ বিকল্প জ্বালানী বিতরণের মাধ্যমে আমরা স্থানীয় মানুষদের সাহায্য করছি এবং অবদান রাখছি জ্বালানীর অভাব দূর করতে।’
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের স্থানীয় জনগণের জন্য ইউএনএইচসিআর ও সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এই চলমান সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। স্থানীয়দের অনেকেই শরণার্থীদের আগমনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, পরিবেশ আমাদের অন্যতম অগ্রাধিকার। তাই এই এলপিজি ও চুলা বিতরণ একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ।’
এনআই/এমএইচএস