স্বাস্থ্যকর রান্নার প্রশিক্ষণ পাবেন ৫০০ পোশাককর্মী

স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতে ৫০০ পোশাক-কর্মীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নার প্রশিক্ষণ দেবে অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট (এসিই)।
জানা গেছে, প্রকল্পের অংশ হিসেবে এসিই ২টি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার সঙ্গে পৃথক চুক্তি সম্পাদন করেছে। কারখানা দুটি হলো, গাজীপুরের রোমো ফ্যাশন লিমিটেড এবং সাভার হেমায়েতপুরের টিনএজ মডার্ন ফ্যাশন লিমিটেড।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার হেমায়েতপুরে একটি কমিউনিটি কিচেনের উদ্বোধন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্ট, যেখানে তৈরি পোশাক-কর্মীদের স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার রান্নার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ফ্রান্সের আউচান ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এসিই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খাদ্যের পুষ্টিগুণ শুধুমাত্র কতটা খাওয়া হয় তার ওপর নির্ভর করে না, এটি কীভাবে প্রস্তুত করা হয় তার ওপরও নির্ভর করে। খাবারের অনেক ভিটামিন এবং খনিজ তাপ, জল, আলো এবং বাতাসের এক্সপোজারের জন্য সংবেদনশীল। রান্নার সময় এবং উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে পুষ্টির ক্ষতি বৃদ্ধি পায়। রান্নার সময় খাবারের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে ৪০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভিটামিন এবং খনিজ হারিয়ে যেতে পারে। সুতরাং, রান্না শেখা তৈরি পোশাক-কর্মীদের জন্য বিলাসিতা নয়, একটি স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি তাদের খাদ্যের সঠিক পুষ্টিকর মান গ্রহণ করতে সাহায্য করতে পারে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি এমপাওয়ারমেন্টের সভাপতি পারভীন সুলতানা হুদা বলেন, আমাদের দেশে বেশিরভাগ নারী তৈরি পোশাক-কর্মীরা স্বাস্থ্যকর রান্নার অনুশীলন সম্পর্কে জানেন না। কারণ তাদের প্রায়ই স্বাস্থ্যকর রান্নার প্রক্রিয়াতে বিনিয়োগ করার পর্যাপ্ত সময় থাকে না। এই উদ্যোগটি বাংলাদেশের নারী পোশাক-কর্মীদের প্রয়োজনীয় রান্নার দক্ষতা অর্জনে সক্ষম করবে এবং সুবিধাভোগীদের জন্য একটি আয়-উৎপাদনকারী পদ্ধতি খুলবে।
এ সময় এসিইর নির্বাহী পরিচালক তানভীর হোসেন বাংলাদেশের আরএমজি কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান অর্জনের দিকে এই কমিউনিটি কিচেনকে একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আউচান ফাউন্ডেশন সাউথ এশিয়ার কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার সাইফুল আলম মল্লিক, পোশাক-কর্মীদের জন্য এমন একটি মহান পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রকল্প অংশীদার এসিইর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে আনন্দ প্রকাশ করে পোশাককর্মী শাহিনা আক্তার বলেন, এই উদ্যোগ আমাদের স্বাস্থ্যকর রান্নার অনুশীলনকে আরও উন্নত করেছে। কারণ, আমরা কখনই রান্নার ব্যাপারে এতটা যত্নবান ছিলাম না। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের বিষয়ে। এখন আমি এই কমিউনিটি কিচেন থেকে বিনা খরচে ভালো ও স্বাস্থ্যকর রান্নার পদ্ধতি সম্পর্কে শিখতে পারছি।
টিআই/এসকেডি