পুরস্কার ঘোষিত ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

পুরস্কার ঘোষিত ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছিনতাইকালে ধাওয়া করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। অবশেষে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে টহলরত পুলিশের সহায়তায় একটি প্রাইভেটকারসহ দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্তরা হলেন, মো. নুর আলম হাবু ও মো. আলমাস। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা একটি স্যামসাং মোবাইল, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার ও দুইটি চাপাতি জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
তিনি জানান, অভিযুক্তরা সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার নিয়ে গত কয়েক মাসে অনেকগুলো ছিনতাই বা দস্যুতার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের ধরতে পারলে ২০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। অবশেষে সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ তাদের ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
ডিএমপির এ কর্মকর্তা বলেন, রাত ১টার দিকে দুইজন হাজারীবাগ থেকে পান্থপথ নিজ বাসার উদ্দেশে রিকশাযোগে রওয়ানা দেন। রাত দেড়টার দিকে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠের পেছনে ওয়াসার অফিসের সামনে একটি প্রাইভেটকার তাদের রিকশা গতিরোধ করে। প্রাইভেটকার থেকে তিন ছিনতাইকারী নেমে চাপাতির ভয়ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে দুইটি স্যামসাং মোবাইল, ১২০০ টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
ভিকটিমদের চিৎকারে ধানমন্ডি থানার টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিএমপি কন্ট্রোল রুমকে অবগত করে ও পুলিশ ছিনতাইকারীর পেছনে ধাওয়া করে। পরবর্তীতে তারা ছিনতাইকারীদের গাড়ি ধাওয়া করে কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে টহলরত পুলিশের সহায়তায় দুইজন ছিনতাইকারীকে গাড়িসহ গ্রেপ্তার করে।
তবে দুইজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পলাতক ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। এই গ্রুপে এখন পর্যন্ত ৪ জনের নাম পাওয়া গেছে। তাদের সকলের নামে অস্ত্র আইন, দস্যুতা ও মাদক মামলা আছে বলেও জানান তিনি।
এমএসি/এসকেডি