শতভাগের কোটায় বিদ্যুৎ ব্যবহার, বেড়েছে সাক্ষরতার হারও
গত ছয় বছরে দেশে বিদ্যুৎ ব্যবহার ২৩.৪২ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেই সঙ্গে সাক্ষরতার হার ৮.৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে ‘হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে (এইচআইইএস) ২০২২’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবিএস জানায়, বর্তমানে দেশের ৯৯.৩৪ শতাংশ খানা সুবিধা আওতায় রয়েছে। যেখানে পল্লী এলাকায় ৯৯.১৪ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ৯৯.৭৮ শতাংশ খানা বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। ২০১৬ সালে ৭৫.৯২ শতাংশ খানা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল।
খানার আয় ও ব্যয় জরিপ (এইচআইইএস) প্রতিবেদনে আরও জানায়, ২০১০ ও ২০১৬ সালের তুলনায় খানায় বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ ও ২০১৬ সালে এখানে বিদ্যুৎ সুবিধা আওতাভুক্ত খানা শতকরা হার ছিল যথাক্রমে ৫৫.৩ ও ৭৫.৯ শতাংশ। বর্তমানে এ হার বৃদ্ধি পেয়ে ৯৯.৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
সেইসঙ্গে সাক্ষরতার হারও বেড়েছে ৮.৪ শতাংশ। বর্তমানে সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাক্ষরতার হার শতকরা ৭৪ শতাংশ। যা ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিল যথাক্রমে ৫৭.৯ ও ৬৫.৬ শতাংশ।
এছাড়া, খানায় উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার শতকরা ৯২.৩ শতাংশ এবং খানায় ব্যবহার্য উন্নত পানযোগ্য পানির শতকরা ৯৬.১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
এসআর/কেএ