২৪ ঘণ্টা হয় খাই নাই, ট্যাকা পাঠাইলে পুলা-মাইয়া খাইবে

‘বুইড়া মা আছে, বউ আর তিনটা গ্যাদাগুন্দা পুলা-মাইয়া। আমি ট্যাকা পাঠাইলে হ্যারা খাইবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা হয় আমিই তো খাই নাই। দুই সপ্তা ধইরা ফুল বেকার। কোনোদিন খাই, তো কোনোদিন পাই না। এইভাবে লকডাউন চলতে থাকলে আমরা তো নাই হইয়া যাইমু।’
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলীতে ঢাকা পোস্টকে এ কথা বলছিলেন দিনমজুর মাহবুব। তিনি বলেন, ‘গাবতলী টার্মিনালেই থাকি। কাজ-কাম কইরা খাই। কিন্তু কী যে গজব আইল!’
মাহবুব আরও বলেন, ‘না খাইয়া থাকা তো বিষয় না। ব্যাদনা হইতেছে পুলাপান আর বুইড়া মা কী খাইতেছে, ক্যামনে চলতেছে কেডা জানে! আমার তো মুবাইল নাই। পকেটে ট্যাকাও নাই। তাই পরিবারের লগে ‘কানেকশন’ করতে পারতাছি না।’
গতবার লকডাউনে অনেকেই খাবার দিয়ে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু এবার সেই সহায়তা তার কাছে কম পৌঁছেছে বলে জানালেন মুহবুব।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৮ দফা বাস্তবায়নে গত ৫ এপ্রিল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ‘সার্বাত্মক বিধিনিষেধ’ শুরু হয়। এটি শেষ হবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে চলমান বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার (১৯ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি বিধিনিষেধকালে জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন ছাড়া রাস্তাঘাটে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ আছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ারও নির্দেশনা আছে।
এসআর/এইচকে