জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুত অর্থ পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিলের কথা বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তা পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা কোনো বিষয় নয়, কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বড় বিষয়। আমি সবসময় আশাবাদী। লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটে আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার তহবিল পাবার বিষয়টি তুলে ধরেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) শুরু হওয়া দুই দিনের এই জলবায়ু সম্মেলনে ৪০ দেশের নেতারা যোগ দেন। শুরুর দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বছরে ১০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল নিশ্চিতের পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, আমার মনে হয়, এই সম্মেলনে সেটা পাওয়া গেছে। সম্মেলনে জার্মানি কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আগামী ৯ বছরের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪৬ থেকে ৫০ ভাগে নামিয়ে আনবে। চীন ৬০ ভাগে নামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সৌদি আরবের কাছ থেকেও এমন প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এটাই অর্জন, এটাই কমিটমেন্ট।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে চার দফা পেশ করেছেন। দফাগুলো হলো- অবিলম্বে উন্নত দেশগুলোর উচ্চাকাঙ্ক্ষী কার্যপরিকল্পনা গ্রহণ, যাতে তাদের জাতীয় কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা যায়।
প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় পরামর্শটি হলো- বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল নিশ্চিত করা। জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ প্রদানের মাধ্যমে এই তহবিলের ৫০ শতাংশ অভিযোজন ও ৫০ শতাংশ প্রশমনের জন্য কাজে লাগানো।
উদ্ভাবন ও জলবায়ুর অর্থায়নে বড় অর্থনীতির দেশ, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি সেক্টরগুলোকে এগিয়ে আসা। চতুর্থ পরামর্শ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবুজ অর্থনীতি ও কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তিতে ট্রান্সফার হওয়া প্রয়োজন।’
এনআই/ওএফ