বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক
বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক। পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে যে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন, তা ইক্যুমেনিজমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্টের (ইসিটি) যৌথ আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি)।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সিনিয়র পাস্টর রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী এবং ইসিটি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাস।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ডক্টর মিল্টন বিশ্বাস। তিনি বলেন, স্বাধীনতার যে সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পেরিয়ে এসেছি, সেখানে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সত্যতা জাতি পেয়েছে। পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধু সবার সঙ্গে যে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন তা ইক্যুমেনিজমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
বঙ্গবন্ধু গবেষক ও মেজর(অব.) আফিজুর রহমান বলেন, ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু কোন মুক্তির কথা বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন— আমাদের মুক্তির সংগ্রাম অর্থাৎ আমাদের সবার মুক্তির কথা। সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, উনি সবার মুক্তি চেয়েছিলেন। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল।
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, আজ মানুষ খুব আগ্রাসী মনোভাবের, এক দেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষকে আক্রমণ করছে। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে আক্রান্ত করছে। এই আগ্রাসী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাইকে এক হয়ে বাঁচতে হবে, একসাথে থাকতে হবে।
এমজে