সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে
সমন্বিত সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ভিয়েতনামের শ্রম, প্রতিবন্ধী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
গত ২১-২৭ এপ্রিল ভিয়েতনামে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের সফরকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থার মডেল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সোমবার ভিয়েতনামের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন
সভায় আরও অংশ নেন ভিয়েতনামের কুয়ান নিন প্রদেশ সরকার, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার হ্যানয় কার্যালয়, ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও দেশটির সামাজিক নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রধানরা।
সভায় মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেছেন, দারিদ্র্য ও ঝুঁকি মোকাবিলায় জীবনচক্রভিত্তিক সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন করা এ কৌশলের প্রধান লক্ষ্য। সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত এবং এ খাতের উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১৫ সালে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন করেছে। এর আওতায় ইতোমধ্যে কর্ম-বয়সী মানুষের জন্য সফলভাবে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, বেকারত্ব, দুর্ঘটনা, পঙ্গুত্ব এবং অসুস্থতা ঝুঁকি নিরসনের জন্য সমন্বিত সামাজিক বিমা প্রবর্তনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, সামাজিক বিমার মাধ্যমে নাগরিকদের কল্যাণ নিশ্চিতে ভিয়েতনাম অনবদ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে ভিয়েতনামের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সফরের মাধ্যমে আমাদের অর্জিত জ্ঞান আরও বড় পরিসরে গবেষণা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সাহায্য করবে।
এনআই/এমজে