২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সহযোগিতা করবে ইইউ
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকার যে পরিকল্পনা করেছে তা বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২৭ দেশের জোটটি বাংলাদেশের বাণিজ্য, জলবায়ু, ডিজিটাল অর্থনীতি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুতে সহযোগিতা করতে চায়।
ইউরোপ দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপের রাষ্ট্রদূতরা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, গত বছর আমরা সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করেছি। এই বছর আমাদের সম্পর্কের অনেক কর্মকাণ্ড হবে। আমাদের দুইপক্ষের সম্পর্ক এখন রাজনৈতিক পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। আমরা অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) করতে সম্মত হয়েছি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত অক্টোবরে ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিষয়ে তার সম্মতি প্রদান করেছেন। ওই সময় ইইউ বাংলাদেশকে অনুদানসহ ঋণ দিয়েছে। আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই। টেলেন্ট অভিবাসন কর্মসূচির মাধ্যমে ইইউ বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে কর্মী নিতে চায় এবং অবৈধ উপায়ে অভিবাসনকে নিরুৎসাহিত করতে চায়।
জার্মানির রাষ্ট্রদূত বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এগিয়ে নিতে জার্মানি বাংলাদেশকে সবুজ জ্বালানি খাতে সহযোগিতা করতে চায়। এই ইস্যুতে আমরা কারিগরি সহযোগিতা করব।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা বাণিজ্য ইস্যুতে সহযোগিতা করতে চাই। শিশুশ্রম বন্ধে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা চাই যে বাণিজ্য খাতে আন্তর্জাতিক যে ৩২টি কনভেনশন আছে তার সবগুলোতে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করুক। যাতে ২০৩২ সালে ইইউ বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে সহজ হয়।
স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এই দেশের সরকার যে পথ পরিকল্পনা করেছে তা সফল করতে আমরা সহযোগিতা করব। আমরা ডিজিটাল অর্থনীতিতে সহযোগিতা করব।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা অভিবাসন খাতে সহযোগিতা করতে চাই। আমরা বৈধ পথে অভিবাসন চাই। অবৈধ উপায়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রায় আমরা মৃত্যু দেখতে চাই না।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং পূর্ণ নাগরিক মর্যাদায় নিজেদের বাস ভূমি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই এই সংকটের একমাত্র সমাধান।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষতি মোকাবিলায় সহযোগিতা করব।
এনআই/এসএম