জীবাশ্ম জ্বালানিতে এডিবির বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিতে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট এবং সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি।
শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরে সংগঠন দুটি আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) বিনিয়োগ শুধু দেশকে দেনায় জর্জরিত করছে না বরং পরিবেশ ও জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতিসাধন করছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এডিবি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে প্রায় ৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে যার ৯৮ ভাগই জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে।
তারা বলেন, গত ১০ বছরে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করেছে এডিবি, যা প্রতিবছর গড়ে ১৯ দশমিক ৩ মিলিয়ন টন কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী।
বক্তারা আরও বলেন, আগামী ৩ থেকে ৫ মে এডিবির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সভায় এডিবির নতুন জ্বালানি নীতি বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সংস্থা হিসেবে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার জন্য অবশ্যই এডিবির জ্বালানি নীতিতে সুস্পষ্ট এবং বাস্তবসম্মত প্রতিফলন আনতে হবে।
এডিবির অর্থায়নে বাস্তবায়িত বেশিরভাগ প্রকল্পে স্থানীয় পরিবেশ ও মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে দাবি করে বক্তারা বলেন, অনৈতিকভাবে জমি দখল, ন্যায্য ক্ষতিপূরণ না দেওয়া, সাধারণ মানুষকে হয়রানি এবং বৈশ্বিক জলবায়ু সমস্যাকে আমলে না নিয়ে এডিবির বিনিয়োগে বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ প্রকল্প চলছে। বক্তারা বাংলাদেশের শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করার জন্য এডিবিকে উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় প্রগতিশীল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম (রাজা), বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমিন হাওলাদার এবং শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আক্তার, সেলিনা বেগম ও লুৎফা বেগম প্রমুখ।
আরএইচ/জেএস
