পরিস্থিতি খারাপ হলেও নির্বাচন করতে চায় ইসি

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্থগিত থাকা সব নির্বাচন আয়োজন করতে চায় বলে জানিয়েছেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
মঙ্গলবার (১১ মে) নির্বাচন কমিশনের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারের কেউ মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন না। বৈঠকে কমিশনের বর্তমান কার্যক্রমের হালনাগাদ সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়। এছাড়া যেসব নির্বাচন স্থগিত আছে, যেগুলোর মেয়াদ শেষ হচ্ছে সেগুলোর সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী ১৯ মে বিকেল ৩টায় কমিশনের ৭৯তম সভা ডাকা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ওই সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ওই সভায় স্থগিত থাকা নির্বাচনগুলোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ১৯ মে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৪ থেকে ৫টি এজেন্ডা আছে। ৩৭১টি ইউপি নির্বাচনসহ যেসব নির্বাচন ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো চালিয়ে যাওয়া ছাড়াও কয়েকটি বিষয়ে সভা থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তার মানে এই নির্বাচনগুলোর বিষয়ে ১৯ তারিখেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
তিনি বলেন, আজকের আলোচনার পর বলা যায়, সব নির্বাচন আমরা কন্টিনিউ করব। করোনা পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেন। আমাদেরকে নির্বাচন করতেই হবে। লক্ষ্মীপুর-২ ও সিলেট-৩ আসনে সিইসি স্যারের ক্ষমতার পরবর্তী ৯০ দিনও পার হয়ে গেছে। আমরা চাচ্ছি, কমিশন একমত হলে এসব নির্বাচন সম্পন্ন করব।
১৯ মে কমিশনের সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে-
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্থগিত নির্বাচন, ষষ্ঠ ধাপের ১১টি পৌরসভাসহ প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত নির্বাচন, শূন্য হওয়া সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের সাধারণ নির্বাচন ও পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার পরিষদের অন্যান্য নির্বাচন, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনের তদন্ত প্রতিবেদন এবং বিবিধ।
করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে গত ১ মার্চ থেকে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। এছাড়া এই সময় অনেক নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হলেও সিইসির বিশেষ ক্ষমতাবলে এসব নির্বাচনের মেয়াদ ৯০ দিন বাড়ানো হয়। এই ৯০ দিনও পার হয়ে যাচ্ছে। তাই এসব নির্বাচন আয়োজন করার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন।
এসআর/এফআর/আরএইচ/জেএস