শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চলতি মাসের ২৪ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। এরইমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার চলমান বিধিনিষেধ আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ২৯ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ২৯ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব নয় বলে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
তাহলে কবে নাগাদ খুলতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান? জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ নিয়ে সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত কোনো তারিখ নিয়ে কথা হয়নি।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া চলছে। তাই শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৭ মে) ভার্চুয়াল সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। সবার একটাই বক্তব্য- আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সংস্কারের কাজ করতে হবে। সরকার নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে। ৪৯টি ইউনিভার্সিটি বা কলেজগুলোর যে হোস্টেলগুলো আছে সেগুলো অলরেডি ৪০টির মতো সংস্কার হয়ে গেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাকসিন আসছে। যদি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে পারি তারপরে ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজ খুলে দিতে পারব।
পিরোজপুরে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করতে আইন চূড়ান্ত অনুমোদন
পিরোজপুরে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২০২১’এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইনটি এর আগে গত ১১ জানুয়ারি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
পিরোজপুর সদর উপজেলায় এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য এক বা একাধিক ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনগুলোকে অনুসরণ করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, খসড়াটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে সংসদে পাঠানো হবে। সেখানে এটি পাস হবে।
সচিব জানান, বাংলাদেশে মোট ১৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে, এর মধ্যে ৪৬টি সরকারি এবং ১০৭টি বেসরকারি। এছাড়া চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১৬৩ ডলার
২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে। আগে যা ছিল দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। শতকরা হিসাবে যা ৯ শতাংশ বেড়েছে।
পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। আগে যা ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক বক্তব্যে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এনএম/জেডএস/জেএস