চোরাই গাড়ি মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে টাকা নিতো চক্রটি

সবসময় সঙ্গে রাখত বিশেষ ধরনের চাবি (মাস্টার কি )। ওত পেতে থাকতো কখন গাড়ির চালক খেতে বা বিশ্রামে যাবেন। আর সেই সুযোগে মাস্টার কি দিয়ে ইঞ্জিন চালু করে পিকআপ নিয়ে উধাও হয়ে যেতো চক্রের সদস্যরা।
তারা কখনও চোরাই গাড়ি খুচরা পার্টস হিসেবে খুলে বিক্রি করতো। কখনোবা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চোরাই গাড়ি টাকার বিনিময়ে ফিরিয়ে দিতো।
এমনই একটি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার। তাদের কাছ থেকে তিনটি পিকআপসহ গাড়ি চুরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন : মো. সোহেল (২৭), মো. রুবেল (৩০), মনির হোসেন (৪০) ও মো. আজিজুল (২৩)।
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাইবার পুলিশ সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, নারয়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ঢাকার ডেমরা এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে মিনি ট্রাক/পিকআপ চুরি করে আসছিল। এ চক্রের সদস্যরা এতোই চালাক যে, সহজে তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। তারা বিভিন্ন সময় গাড়ি চুরি করার জন্য ওত পেতে থাকতো। যখন কোনো চালক গাড়ি রেখে হোটেলে খেতে যেতেন তখন তারা মাস্টার কি ব্যবহার করে ইঞ্জিন চালু করে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যেত।
তিনি বলেন, চক্রটি গাড়ি চালকদের চুরির জন্য প্রভাবিত করতো। এজন্য চালকদের দেওয়া হতো লোভনীয় প্রস্তাবও। মূলত চালকদের হাত করেই চক্রটি পিকআপ ভ্যান চুরি করে আসছিল।
চুরির পর মালিকের মোবাইল নম্বর নিয়ে ফোনে যোগাযোগ করে বিকাশে টাকা দাবি করতো তারা। বিকাশে তাদের টাকা পাঠালে গাড়ি ফেরত দিতো। অনেক সময় টাকা নিয়েও গাড়ি ফেরত দিত না চক্রটি। পরবর্তীতে চক্রটি গাড়িগুলো তাদের নিজস্ব গ্যারেজে নিয়ে বিভিন্ন অংশ খুলে বা পরিবর্তন করে ফেলত। তাই মালিক হাজার চেষ্টা করেও গাড়ি শনাক্ত করতে পারতেন না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা গাড়ি চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছে। চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জেইউ/এসকেডি