‘জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারদের দ্রুততম সময়ে সাহায্য দিতে হবে’

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারদের দ্রুততম সময়ে সাহায্য দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির আহত নিহতদের পরিবারের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত পরিবারদের সাহায্য ও আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ দেশের ইতিহাস খুবই লজ্জাজনক। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতার জন্য অগণিত মানুষ যুদ্ধ ও সংগ্রাম করেছিল। অথচ একটি পরিবার সে যুদ্ধের ফলটাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জনগণ সে সুযোগ দেয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর অনেকেই বলেছে যে এই বিপ্লবের ভ্যানগার্ড ছিল, অথচ সত্য হলো কেউই ভ্যানগার্ড ছিল না। জুলাই আন্দোলন একদিনে হয়নি, সুতরাং যারা বলতে চাচ্ছেন আপনাদের কারণেই আন্দোলন হয়েছে, তাদের কারোর এই কথা বলার অধিকার নেই। আন্দোলনে শিক্ষক, শ্রমিক, সাধারণ মানুষরাই ছিল। একটি প্রশাসনের নির্যাতন নিপীড়নের মুখে তারা দাঁড়িয়ে আন্দোলন করেছে।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যে হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে, তার প্রত্যেকটা প্রমাণ রয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই,দ্রুততম সময়ে তার বিচারকাজ সম্পন্ন করুন। আন্দোলনে যারা মারা গেছে,তাদের খোঁজ বের করা কঠিন কিছু নয়, কিন্তু আপনারা তা করছেন না। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, তাদের খবর আপনার নিচ্ছেন না। আপনারা ভুলে গেছেন, এই মানুষের ত্যাগের বিনিময়েই আপনারা ক্ষমতায় গিয়েছেন।
নাসির উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশটাকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আর তার জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরি করা ও জনগণকে স্বস্তি দেওয়া। কারণ জনগণকে স্বস্তি না দেওয়া হলে তারা আপনাদের এই মসৃণ পথচলাকে রুদ্ধ করবে। সুতরাং দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে জনগণ অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করুন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক ড আরমানা সাবিহা হক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক নাজমুল হাসান প্রমুখ।
ওএফএ/এআইএস