কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসি সচিবের কক্ষের সামনে হট্টগোল

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ড্রাইভারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কক্ষের সামনে হট্টগোল করেছেন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ড্রাইভারসহ কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন।
পরে সাড়ে ১২টার দিকে মিটিং শেষে সচিব ও অতিরিক্ত সচিব এসে তাদের বিচারের আশ্বাস দিলে সেখান থেকে সবাই চলে যান।
আরও পড়ুন
এর আগে মঙ্গলবার ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছে খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে অফিসটির গাড়ি চালক রবিন ইসলাম মদুদ লিখিত অভিযোগ করেন।
সচিবের কাছে জমা দেওয়া অভিযোগে রবিন ইসলাম মদুদ জানান, মঙ্গলবার আনুমানিক ৩টা ৩৫ মিনিটের সময় তাকে অফিস সহায়ক উশা আফরিনকে দিয়ে অফিসে ডেকে নেন হুমায়ুন কবির। ওই সময় দুজন কর্মকর্তা ও একজন কর্মচারী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা গাড়ি চালকের কাছে গাড়ির চাবি ও গাড়ি চাইলে তিনি লিখিত আকারে বুঝে নিতে বলেন। তখন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তার দিকে তেরে আসেন। সেখানে উপস্থিত থাকা খুলনা সদর থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস ইশারা করে চাবি দিয়ে দিতে বলেন। তখন তিনি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে চাবি দিয়ে দেন।
তখন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা চাবি নিয়ে উত্তেজিত হয়ে তার মুখের উভয় পাশে এলোপাতাড়ি চড় ও ঘুষি মারেন। এ সময় পায়ের স্যান্ডেল দিয়ে মাথায়ও বাড়ি মারেন। মনোরঞ্জন বিশ্বাস তার হাত ধরে ঠেকাতে গেলে মনোরঞ্জন বিশ্বাসের উপরও চড়াও হন এবং তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, পরে দরজা খুলে বের হতে গেলে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এতে আঘাত পেয়ে দাঁত ভেঙে যায়। তখন রুমে থাকা উচ্চমান সহকারী অভিনাশ কুমার শার্ট লিপিকার শহিদুল ইসলাম রুমে ঢুকেন। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা তাদের সামনে গালিগালাজ করেন। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেই।
পরবর্তীতে অফিসে গেলে বদলির চিঠি ও অবমুক্তের আদেশ দেওয়া হয়।
লিখিত অভিযোগে তিনি সুবিচারের দাবি করেন।
এসআর/এমএসএ