মহার্ঘ ভাতার দাবিতে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার ঘোষণা

মহার্ঘ ভাতা প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পাদদেশে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া।
ফেডারেশনের দাবিগুলো হচ্ছে— পে-কমিশন গঠন করে বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে। পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারী প্রতিনিধি রাখতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য ন্যূনতম ৬ হাজার টাকা মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে; যে সকল কর্মচারী নিজ গ্রেডের বেতন বৃদ্ধির শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে; বৈষম্যহীন এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি এবং আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত আপগ্রেডেশন/ পদোন্নতি নীতিমালা পর্যালোচনা করে সর্বোচ্চ সুবিধাপ্রাপ্ত অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হবে। ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণসহ শতভাগ আপগ্রেডেশন/পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন
এছাড়া সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সর্বোচ্চ বয়স ৬৫ বছর করতে হবে ও সব পাবলিক, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ এবং কর্মচারীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব-স্ব বেসিক সংগঠনের প্রতিনিধিদেরকে কমিটিতে রাখতে হবে; বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করে সব ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ ও ১১-২০ গ্রেডের চাকরিজীবীদের রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারিভাবে পণ্য সরবরাহ করতে হবে; সব স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত কর্মচারীদের গ্রাচ্যুয়িটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তনসহ বিদ্যমান গ্রাচ্যুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের জায়গায় ১০০ শতাংশ নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচ্যুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে এবং সরকারের অনুমোদন সোনালি ব্যাংকের মাধ্যমে পেনশন এবং গ্রাচ্যুইটির উপর ভিত্তি করে ৪ শতাংশ গৃহ নির্মাণ ঋণ গ্রহণের সুবিধা রয়েছে। সরকার ঘোষিত নীতিমালার শর্ত অনুযায়ী লোন সুবিধা সাধারণ কর্মচারীগণ ভোগ করতে পারে না, অতএব নীতিমালা সংশোধন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সেলিম মিয়া বলেন, সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা মহার্ঘ ভাতা প্রদানের বিষয়ে যে ধরনের বক্তব্য মিডিয়ার সম্মুখে উপস্থাপন করেছেন তাতে সর্বস্তরের সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও আধা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিছু কুচক্রী মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আসছেন। তাই বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন সরকারি কর্মচারীদের আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত মহা-সমাবেশে যোগদানের জন্য একাত্মতা প্রকাশ করেণ। ওইদিন মহা-সমাবেশে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বেসিক সংগঠনের নেতা ও সকল কর্মচারীদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
/এমএইচএন/এমএসএ