অন্তর্বর্তী সরকার অনেক কিছুই করতে পারছে না : চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সংস্কার হচ্ছে একটা অন্তহীন প্রক্রিয়া। যতদিন দেশ থাকবে, ততদিন সংস্কার চলমান থাকবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যদি একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের যে শক্তি, সাহস ও দক্ষতা থাকবে তা দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেগুলো অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) নগরের লালদিঘীর পাড় চসিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতাদের গবেষণাধর্মী সংগঠন অ্যাডভান্সড ন্যাশনালিস্ট ফর ডেমোক্রেসি (এএনডি) কর্তৃক আয়োজিত মুক্ত আলোচনা ও মতামত প্রকাশ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংস্কারটি হবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের অধীনে। বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কী কী সংস্কার করা হবে সেজন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রণয়ন করেছেন। বিএনপির ৩১ দফার মাধ্যমেই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। আমি বলব, সবাই ৩১ দফা সম্পর্কে জানুন। বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
দেশ সম্বন্ধে ছাত্ররা কতটুকু চিন্তা করছেন সে বিষয়টি জানার কথা উল্লেখ করে চসিক মেয়র বলেন, আমি চিন্তাভাবনা করছি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও শহরের অন্যান্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে সারাদিন পতেঙ্গা থেকে শুরু করে কর্ণফুলীর পুরো এরিয়া ঘুরবো। এ ধরনের একটা অনুষ্ঠান করার চিন্তা করছি। যারা মেধাবী ছাত্র, তাদের কিছু মত আমি নিতে চাচ্ছিলাম। দেশ সম্বন্ধে তারা কতটুকু চিন্তা করছে, আগামীর জন্য তারা আদৌও প্রস্তুত কি-না। বিএনপির ৩১ দফা, ১৯ দফা ও ভিশন ২০৩০ সম্বন্ধে তারা কি জানে? বিএনপি কি চায়। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমি ছাত্রদের সঙ্গে মুক্ত আলোচনা করতে চাই।
আরও পড়ুন
ছাত্ররা সবসময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেকোনো আন্দোলনে ছাত্ররা নেতৃত্ব দিয়েছে। জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামের সন্তান ওয়াসিম শহীদ হয়েছেন। তবে ওয়াসিমের কন্ট্রিবিউশনকে ছোট করে দেখা হচ্ছে। এখানেও কিন্তু বৈষম্য কাজ করছে।
তবে আন্দোলনে তার অবদানের বিষয়টি মাথায় রেখে চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া আমবাগান এলাকার পার্কটিও শহীদ ওয়াসিমের নামে নামকরণের ঘোষণা দিয়েছি। এভাবে আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কন্ট্রিবিউশনের বিষয়টি তুলে আনতে হবে। তাদের কথা বলতে হবে। আর তাদের অনুপ্রেরণার মধ্য দিয়েই পরবর্তী প্রজন্মকে চলতে হবে।
এমআর/এমএন