নৌবাহিনীর ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ চলছে

মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় ‘বিশেষ কম্বিং অপারেশন’ পরিচালনা করছে নৌবাহিনী। রোববার থেকে অপারেশনের তৃতীয় ধাপ শুরু হয়।
অভিযানে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬টি দোকান থেকে অবৈধ ৩০ লাখ ৬শ ৫০ মিটার চড়ঘেরা জাল, ৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল, ৩ হাজার ৪শ মিটার বেহুন্দি জাল ও ২১ লাখ ৬০ হাজার মিটার পাইজাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য টাকা ২ কোটি ৯ লাখ ৩২ হাজার মাত্র।
এ ছাড়াও অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৫০ মিটার জাল, ৯টি বেহুন্দি জাল ও অবৈধ মাছ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭শ টাকা। সবমিলিয়ে তৃতীয় ধাপে সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২১ কোটি ৬২ লাখ ৬ হাজার ৭০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়। অভিযানে এ পর্যন্ত সর্বমোট ৭৬ কোটি ৩২ লাখ ৫ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের অবৈধ জাল ও মাছ জব্দ করা হয়।
সবশেষ আজ (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের বহিঃনোঙ্গর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় জাহাজ ও বোটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল উদ্ধার এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়।
আরও পড়ুন
নৌবাহিনী জানায়, মৎস্য সম্পদের সুরক্ষায় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় বিশেষ কম্বিং অপারেশ পরিচালনা করা হচ্ছে। গত ১২ জানুয়ারি থেকে নৌবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে উপকূলীয় জলাশয় ও নদী অববাহিকায় ১০ মিটারের কম গভীরতায় মৎস্য সম্পদ ধ্বংসকারী সকল অবৈধ জাল অপসারণে ৪টি ধাপে পরিচালিত এ অভিযান ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলমান থাকবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, খুলনা, মোংলা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, শরীয়তপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলায় নৌবাহিনীর ১১টি জাহাজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোটের মাধ্যমে বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল, চটজাল ও টংজাল উদ্ধার ও ধ্বংস করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব অবৈধ জাল ব্যবহার বন্ধে তৎসংলগ্ন এলাকায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।
অভিযানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিশেষ টিম, জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মৎস্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। অভিযানে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বৈধ মৎস্য আহরণ নিশ্চিত করতে জেলেদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এমআর/এনএফ