জলাবদ্ধতা নিরসনে সৃজনশীল-উদ্ভাবনী কৌশল প্রণয়ন করতে হবে

জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে আমাদের দ্রুত সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী কৌশল প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলে উল্লেখ করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী নিশ্চিতে রাজউকের কর্মপরিকল্পনায় ড্রেইনেজ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন বিষয়ক এ সভার আয়োজন করা হয়।
রাজউকের চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, একটি সুন্দর, বাসযোগ্য ঢাকা গঠনের জন্য আমরা কর্মপরিকল্পনা করতে চাচ্ছি। সব অংশীদারদের নিয়ে রাজউক কাজ করছে। ঢাকায় একসময় যে পরিমাণে জলাভূমি ছিল, তার বেশিরভাগই এখন ভরাট হয়ে গেছে। এখন বুয়েটের মতো এলাকাতেও অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সমস্যা নিরসনে আমাদের দ্রুত সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। আমরা দখলকৃত জলাভূমিগুলো উদ্ধার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করব।
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেন ভরাট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমি আশাবাদী আমরা সব অংশীজনরা মিলে একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করতে পারব।
আরও পড়ুন
সভায় রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘসময় ধরে জলাবদ্ধতা থাকলেও কেউ তা নিয়ে কাজ করেনি। হঠাৎ জলাবদ্ধতা বেড়ে গেলে তখন আমরা বিপদে পরে যাই। এর থেকে যদি আমরা আগে থেকেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করি, তাহলে বর্ষাকালে আর ভারি জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হবে না। এক্ষেত্রে রাজউকসহ অন্যান্য অংশীজনদের একযোগে কাজ করতে হবে।
সভায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা আলী বলেন, ঢাকা শহরের খালগুলোর অব্যবস্থাপনা, সুনির্দিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যা অতিমাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এর সমাধানে খালগুলো অনতিবিলম্বে পুনরুদ্ধার করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।
সভায় ডিএনসিসি, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এমএন