ঢাকা উত্তরের প্রশাসক এজাজের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেলেন আমিনুল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় লেখক ড. আমিনুল ইসলাম।
গত ১৭ এপ্রিল সিটি করপোরেশনের এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫৩ নং ধারা অনুযায়ী পরামর্শের প্রয়োজনে প্রশাসক মহোদয়ের অভিপ্রায় অনুযায়ী আমিনুল ইসলামকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। এটি সম্পূর্ণ অবৈতনিক হিসেবে বিবেচিত হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এই আদেশ জারি করা হলো।
ড. আমিনুল ইসলামের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি, সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সুইডেনে মাস্টার্স এবং ইংল্যান্ড থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন তিনি। বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ এস্তোনিয়ার এন্টারপ্রেনারশিপ ইউনিভার্সিটিতে টেকসই উন্নয়নে সিনিয়র লেকচারার হিসাবে কর্মরত আছেন।
শিক্ষকতার বাইরে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় লেখক আমিনুল ইসলাম। ২০২৩ সালে তার লেখা প্রবন্ধ ‘লাইফ অ্যাজ ইট ইজ’ রকমারি বেস্ট সেলার পুরষ্কার পেয়েছে। এছাড়াও চলতি বছরেও বইমেলায় প্রকাশিত দুইটি বই ‘নিলী নীলিমা’ ও ‘গ্রীষ্মের ছুটিতে দুঃস্বপ্ন’ পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আরও পড়ুন
সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রসঙ্গে আমিনুল ইসলাম বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে আমার কাজটুকু আসলে পরামর্শ দেয়া। আমি সেই দায়িত্বটুকুই যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করব। এছাড়া আমরা যেহেতু ন্যায্য নগরের কথা বলেছি, সেক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত যে মানুষগুলো এই শহরে থাকে; যারা এক অর্থে নাগরিক সুবিধার বাইরে, তাদের কথাগুলো শুনতে চাই।
‘বস্তি এলাকার মানুষের কথা শুনতে চাই, তারা নিজেরা কিভাবে পুনর্বাসিত হতে চায়; তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো শুনতে চাই। এরপর সে অনুযায়ী পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা থাকবে। সোশ্যাল জাস্টিস এবং টেকসই সামাজিক উন্নয়নের জন্য সকল শ্রেণীর মানুষকে নিয়েই নগর গড়ার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।’
বর্তমানে এস্তোনিয়া অবস্থান করা এই শিক্ষকের কাজের ধরণ কেমন হবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেছেন— ‘আপাতত আমি নাগরিকদের সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। উনারা যাতে ই-মেইলের মাধ্যমে সমস্যাগুলো তুলে ধরে। এছাড়া একটি অনলাইনে আমরা গুগল ফর্মেরও ব্যবস্থা করেছি। যেখানে নাগরিকরা মতামত জানাতে পারেন। এই মতামতের উপর ভিত্তি করে প্রশাসককে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করবে। আর দেশে গেলে আমার মূল কাজ হবে, সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো (বিশেষ করে যারা বস্তিতে থাকে কিংবা ইন-ফর্মাল সেটেলমেন্টে থাকে) তাদের মতামত শুনে কিভাবে পুনর্বাসন করা যায়; সেই চেষ্টাটুকু করা। যাতে আমরা সামাজিকভাবে টেকসই একটা নগরী পাই।’
এনএইচ