বাস্তবতায় বিপন্ন একান্নবর্তী পরিবার

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
ডলারের দাম বাজারের হাতে, থাকবে নজরদারি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে দীর্ঘ দর-কষাকষির পর মার্কিন ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার কেনা ও বেচার ক্ষেত্রে দাম কী হবে, তা ব্যাংক ও গ্রাহকের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ডলারের দাম আরও বাজারভিত্তিক হবে, সঙ্গে থাকবে জোরদার তদারকি। আইএমএফের ঋণের শর্তপূরণের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও এ পদ্ধতি পুরোপুরি বাজারভিত্তিক হবে কি না, তা নিয়ে এখনো প্রশ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ডলারের দাম যাতে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে না যায়, সে জন্য কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি অতি জরুরি প্রয়োজনে ডলারের চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে ৫০ কোটি ডলার দিয়ে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
একীভূত হচ্ছে ঘুণে ধরা ১১ আর্থিক প্রতিষ্ঠান
ব্যাংকবহির্ভূত কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান এখন মৃতপ্রায়। তারা অনেক দিন ধরে আমানতকারীর অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। পাচ্ছে না নতুন আমানতও। এমন পরিস্থিতিতে এই খাতকে বাঁচাতে ধাপে ধাপে মোট ২২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করার চিন্তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকা ১১ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আজকের পত্রিকা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অস্থিরতা
সরকারপ্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বৈদেশিক সম্পর্কের নানা দিক সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে ঝামেলা তৈরি হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা ও তাঁর দপ্তর মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের ধরন এবং সরকারপ্রধানের কাজের যে বৈচিত্র্য ও গতি, তার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাল-লয় ঠিক রেখে চলতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে সর্বশেষ উদাহরণ, প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর সামনে রেখে টোকিওতে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পরামর্শমূলক সভা (এফওসি) নিয়ে একের পর এক সিদ্ধান্তে বদল।
আরও পড়ুন
প্রথম আলো
একের পর এক ঘটনা, ভোট নিয়ে নানা আলোচনা
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনা জাতীয় রাজনীতিতে যেমন উত্তেজনা তৈরি করেছে, তেমনি নানা আলোচনার জন্মও দিয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আলোচনা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে কি না, সেই প্রশ্নও সামনে এসেছে।
তবে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা মনে করেন, কোনো ঘটনাই জাতীয় নির্বাচনের মতো জনদাবিকে আড়াল করতে পারবে না। জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ধারণাও একই রকম।
বিএনপি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবি করে নির্বাচনের পথনকশা চেয়ে আসছে। আর জামায়াত কিছু মৌলিক সংস্কার সম্পন্ন করে সম্ভব হলে ডিসেম্বরেই, তা না হলে আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান চায়।
কালের কণ্ঠ
ছোটবেলায় আলী বাবা এবং ৪০ চোরের গল্প শোনেননি—এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাস্তবে হুবহু আলী বাবা হয়তো নেই; কিন্তু গত সাড়ে ১৫ বছর এ দেশের মানুষ দেখেছে ‘দরবেশ বাবা’ এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের লুটপাট। আলী বাবা ও চল্লিশ চোরের বদলে শেখ হাসিনার আমলে বাস্তব রূপ পায় ‘দরবেশ বাবা এবং চল্লিশ চোরের গল্প’। যে গল্প আরব রজনীর গল্পের চেয়েও রোমাঞ্চকর।
সমকাল
জানুয়ারি থেকে মার্চে রাজনৈতিক সংঘাতে ৬৭ জন নিহত
রাজনৈতিক সহিংসতায় গত জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে সারাদেশে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ১৩ জন করে নিহত হন। সর্বোচ্চ ৪১ জন মারা যান মার্চে। এ ছাড়া ১ হাজার ৯৯৯ জন সহিংসতায় আহত হয়েছেন।
গতকাল বুধবার মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ প্রকাশিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। সংগঠনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানবাধিকারকর্মীদের পাঠানো তথ্য এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
কালবেলা
বাস্তবতায় বিপন্ন একান্নবর্তী পরিবার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা ব্যাংকার মোহাম্মদ ইরফান (৩৯)। তার শৈশব কেটেছে একান্নবর্তী পরিবারে। শিক্ষাজীবন থেকে তিনি রাজধানীর বাসিন্দা। এখন স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে তার ছোট্ট পরিবার। শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানান, দুই ভাই, এক বোন বাবা, মা ও তিন চাচার পরিবার নিয়ে ছিল তাদের একান্নবর্তী পরিবার। শান্ত সবুজ গ্রামে ভাইবোনদের সঙ্গে কেটেছে হৈহুল্লোড়ে। কালক্রমে এখন তাদের সবাই বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছেন। সন্তানরাও বঞ্চিত হচ্ছে স্বজনদের স্নেহ ও মায়া থেকে। তার ছোটভাই মুশফিকুর রহমানও পরিবার ছেড়ে সরকারি চাকরি সূত্রে পাবনায় বসবাস করেন। উৎসব ছাড়া কারও সঙ্গে আগের মতো দেখা নেই তাদের। একই চিত্র পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার বাসিন্দা মুরাদ হাসানের বেলায়। একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তাদের শৈশব কেটেছে শরীয়তপুরের গ্রামে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকে ছয় ভাইবোনের কেউ আর একসঙ্গে নেই। জীবিকার তাগিদে ছড়িয়ে আছেন দেশের বিভিন্ন জেলা ও প্রবাসে। আদিম পেশা কৃষিতে অভ্যস্ত সমাজে একান্নবর্তী পরিবারের আধিক্য থাকলেও শিল্পায়নের কল্যাণে মানুষ ছেড়েছে পরিবারের মায়া। জড়িয়েছে বিভিন্ন পেশায়। ফলে ভেঙে গেছে একান্নবর্তী পরিবারের ঐতিহ্য। পরিবার ছোট হওয়ার পেছনে জনসংখ্যাবিশারদরা বলছেন, চাকরিসূত্রে কিংবা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের কারণে একান্নবর্তী পরিবার ভাঙছে।
যুগান্তর
ভারতের দেওয়া ফারাক্কা বাঁধ যেন বাংলাদেশের নদীগুলো হত্যার এক মেশিন। মরণবাঁধ দেওয়ার পর গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের ৫০টির বেশি নদী কার্যত মরে গেছে। কোনো কোনোটি নদী থেকে খাল বা নালায় পরিণত হয়েছে। নাব্য হারিয়ে, লবণাক্ততা বেড়ে দেশের আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদী এ বাঁধের কারণে অস্তিত্বের সংকটে আছে। নদীনির্ভর সংস্কৃতি বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়েছে মানুষের জীবিকা আর দেশের জীববৈচিত্র্য। যেখানে আগে খরস্রোতা নদী ছিল সেখানে এখন ধুধু প্রান্তর। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নদীর এ অকালমৃত্যুর কারণে ভূ-প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে আছে দেশের মানুষ। অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন।
প্রথম আলো
দিনে ২২০০ নতুন পরিবার হচ্ছে, সবচে ছোট পরিবার কোথায় কোথায়
দেশে পরিবারের আকার ছোট হয়ে আসছে। শহর কিংবা গ্রামের বাড়িতে এখন বড় পরিবার কম খুঁজে পাওয়া যায়। আকার ছোট হয়ে এলেও পরিবারের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন বাংলাদেশে ২ হাজার ২০০ নতুন করে পরিবার দেখা দিচ্ছে।
বাবা-মা, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, চাচা-চাচি নিয়ে একসঙ্গে যৌথভাবে থাকা-খাওয়ার মতো পরিবার কমে যাচ্ছে। আর্থসামাজিক কারণে এমন পরিবার থাকছে না। অণুপরিবার (নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি) অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের সন্তান নিয়ে ছোট পরিবারের সংখ্যাই এখন বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবর্তনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ছে শিশু ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর ওপর। যদিও পরিবারের এই পরিবর্তন ভালো না মন্দ, তা নিয়ে সমাজে ও রাষ্ট্রে আলোচনা এখনো কম।
