পেট্রোল পাম্পে ধর্মঘট, বিপাকে ভোক্তারা

তেল বিক্রির কমিশন ন্যূনতম ৭ শতাংশ করাসহ ১০ দফা দাবিতে আধাবেলা ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ।
রোববার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পেট্রোল পাম্প থেকে তেল বিক্রির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
নগরীর বিভিন্ন রিফুয়েলিং স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, কোথাও পেট্রোল, অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে না। যেসব গ্রাহক আসছেন, তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাম্পে তেল না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা। স্টেশনের কর্মীরা বলছেন, ধর্মঘট পালন শেষ হলে ২টা থেকে তেল বিক্রি শুরু হবে।
রামপুরা-মালিবাগ রোডে অবস্থিত হাজীপাড়া রিফুয়েলিং স্টেশনে তেল নিতে আসেন রফিকুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। তবে স্টেশন থেকে তাকে বলা হয়, তেল নেই। গাড়িতে খুব বেশি পরিমাণ তেল না থাকায় চিন্তায় পড়েছেন তিনি। রফিকুল বলেন, গাড়িতে সামান্য তেল আছে। কতক্ষণ চলবে জানি না। হুটহাট এমন ধর্মঘট আমাদের ভোগান্তি ছাড়া কিছুই বাড়ায় না।
তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে মহাখালীর ক্লিন ফুয়েল পাম্পেও। যারা তেল নিতে আসছেন, প্রত্যেককেই ফিরে যেতে হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে খোলা তেল নেওয়া ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই।
তবে তেল বিক্রি বন্ধ থাকলেও চালু রয়েছে সিএনজি গ্যাস বিক্রি। পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির দাবির সঙ্গে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে আপাতত তারা ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। ফলে রিফুয়েলিং স্টেশনে সিএনজি বিক্রি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন
কমিশন বৃদ্ধিসহ পেট্রোল পাম্প মালিকদের ৭ দফার দাবির মধ্যে রয়েছে, সওজ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের ন্যায় বহাল করা, পাম্পের সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের সময় পে-অর্ডারকে নবায়ন বলে গণ্য করা, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফিস এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা, পেট্রোল পাম্পের ক্ষেত্রে পরিবেশ, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল, বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রয় বন্ধ, ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন এবং নতুন লাইসেন্স বাধা বিপত্তি ছাড়া ইস্যু, সব ট্যাংকলরি জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট ইস্যু করা, বিভিন্ন স্থানে অননুমোদিত এবং অবৈধভাবে ঘরের মধ্যে, খোলা স্থানে যত্রতত্র মেশিন দিয়ে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধের দাবি।
ওএফএ/এমএন