স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিসসহ ৭ দাবিতে চট্টগ্রামে আইসিও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অফথালমোলজি (আইসিও) শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি জানিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ও ক্লিনিক্যাল ওয়ার্ক থেকে বিরতি কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি না মানলে ইনস্টিটিউটের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার কথাও বলেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলীস্থ আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীরা তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেন।
আইসিও শিক্ষার্থীদের মতে, বাংলাদেশে অপটোমেট্রি একটি অবহেলিত অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পেশা। অপটোমেট্রিস্টরা চোখের রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা, চশমা ও লেন্স নির্ধারণ, থেরাপি, রেফারেল এবং প্রাথমিক চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। অথচ বাংলাদেশে এখনো এই পেশার জন্য নেই স্বতন্ত্র কাউন্সিল, নেই আইনগতভাবে স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করার স্বীকৃতি।
বর্তমানে আইসিও-এর ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি কোর্সটি পরিচালিত হচ্ছে ফ্যাকাল্টি অব হেলথ টেকনোলজি-এর অধীনে, যা পূর্বে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। যা শিক্ষার্থীদের মতে একেবারেই অযৌক্তিক এবং আন্তর্জাতিক মানের পরিপন্থী।
শিক্ষার্থীদের সাত দাবি—
১. অপটোমেট্রি প্রোগ্রামকে ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিন-এর অধীনে স্থানান্তর অথবা পৃথক ফ্যাকাল্টি অব অপটোমেট্রি গঠন।
২. এক বছরের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালু, যা অপটোমেট্রিস্টদের ক্লিনিক্যাল দক্ষতা অর্জনের জন্য অপরিহার্য।
৩. ডিগ্রিকে এমবিবিএস ও বিডিএস সমমানের স্বীকৃতি এবং অনার্স নম্বর বৃদ্ধির ব্যবস্থা।
৪. স্বতন্ত্র অপটোমেট্রি কাউন্সিল গঠন করে সুশৃঙ্খলভাবে পেশাগত রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রদান।
৫. অপটোমেট্রিস্টদের স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করার অধিকার প্রদান— তারা যেন ক্লিনিক বা প্রাইভেট সেটিংয়ে আইনি প্রতিবন্ধকতা ছাড়া রোগী দেখতে পারেন।
৬. আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কারিকুলাম উন্নয়নের পাশাপাশি ৩য় বর্ষ থেকে ক্লিনিক্যাল সংযুক্তি কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তিকরণ, যাতে দেশের অপটোমেট্রিস্টরা বিদেশে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও স্কলারশিপের সুযোগে এগিয়ে যেতে পারেন।
৭. আইনি স্বীকৃতির বাস্তবায়ন—হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ।
ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অফথালমোলজির পরিচালক প্রফেসর খুরশিদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি জানিয়েছে। গভর্নিং বডির সঙ্গে বসে এই বিষয়ের যৌক্তিক সমাধান হবে।’
আরএমএন/এমজে