বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে বন্দর পরিচালনা নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে : নৌ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালনার ইস্যুতে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, এ বিষয়ে এখনো নেগোসিয়েশন চলছে। আমার ওপরেও এটা নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে। আমাদের ক্ষতি হয়- এমন কোনো চুক্তি হবে না।
বুধবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
কয়েকদিন ধরে শোনা যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ এমন প্রশ্নের উত্তরে নৌ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত বলার সময় আসেনি৷
আরও পড়ুন
জনবল বাড়িয়ে এবং তাদের দক্ষতা বাড়িয়ে নিজস্বভাবে বন্দর পরিচালনার কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না- এছাড়া এ নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন হয়ে আসছে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আন্দোলন যদি হয়, তাহলে কি সেটাতে আমি বাধা দিতে পারব? যদি বাধা দেই তাহলে তো স্বৈরাচারের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিকভাবে যদি কেউ এটা অপারেট করতে চায় এবং বিনিয়োগ করতে চায়, তাহলে কি সেটা আমরা দিতে পারব না? এতে কি বন্দর তাদের হাতে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে? বন্দর তো বন্দরের কাছেই থাকছে। এমন নয় যে বন্দর কর্তৃপক্ষকে সরিয়ে দিয়ে বিদেশিদের বসানো হচ্ছে। এটা হলো অপারেশন। যেমন আজকে আমরা নেভিকে দিলাম। যদি নেভি না থাকে তাহলে আর্মিকে দিতে হবে। সুতরাং আন্তর্জাতিকভাবেও কেউ যদি এটা পরিচালনা করতে চায়, তবে সে ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধার কথাই আগে বিবেচনা করতে হবে। আগের সরকারের কথা ভুলে যান। আগের সরকার তো অনেক কিছুই করেছে, সেগুলো আমরা বাদ দিচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে এখনো নেগোসিয়েশন চলছে। আমার ওপরেও এটা নিয়ে নেগোসিয়েশন চলছে। আমাদের ক্ষতি হয়- এমন কোনো চুক্তি হবে না। তারা একটা বড় বিনিয়োগ নিয়ে আসছে। তারা ৮৫টি আন্তর্জাতিক বন্দর পরিচালনা করছে। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও আমেরিকাতেও তারা বন্দর পরিচালনা করছে। কেউ কেউ বলছে, বিদেশিরা এলে পোর্ট নিয়ে যাবে। আমার মনে হয়, এদের কিছু স্বার্থ আছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এলে তাদের সেই স্বার্থ পূরণ হবে না।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আপনারা ভালো করেই জানেন, পোর্টে কীভাবে চাঁদাবাজি হয়। পোর্টে প্রচণ্ড চাঁদাবাজি হয়। এখনো চাঁদাবাজি চলছে। সুতরাং না বুঝে, না শুনে আমরা কোনো কাজ করছি না।
বিদেশিদের বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে কোনো অ্যানালাইসিস করেছেন কি না- মন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এখনো তো কিছু হয়নি। এখন তো মাত্র স্টাডি হচ্ছে। আমাদের মঙ্গলের জন্য তাদের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তি হবে বন্দরের সঙ্গে।
/এমএম/এমএসএ