৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারী ৬৫ জনকে চূড়ান্ত আবেদনে সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৬৫ জনকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। একই সঙ্গে এনটিআরসির আবেদনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়স ৩৫ বছর ঊর্ধ্ব হবে না, এমন নির্দেশনা দিয়ে জারি করা আদেশটি এই ৬৫ প্রার্থীর বেলায় শিথিল হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি শেষে বুধবার (৭ জুলাই) বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে ৬৫ প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন ও আইনজীবী মনির উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
আদেশের পর আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, আবেদন করার সময় এই ৬৫ প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের কম ছিল। এখন চূড়ান্তভাবে শিক্ষক নিয়োগের আবেদনের সময় তাদের বয়স ৩৫ বছরের বেশি হয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আজ আদালত আদেশ দিয়ে তাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের এ আদেশের ফলে এনটিআরসি’র ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এই ৬৫ জনের নিয়োগের পথ উন্মুক্ত হলো। তবে ৩৫ বছর বয়স শিথিলের শর্তটি শুধুমাত্র এই ৬৫ প্রার্থীর বেলায় প্রযোজ্য হবে।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসি। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফেনীর রুহুল আমীন আরাফাতসহ ৬৫ জন প্রার্থী ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
পরে গত ১৬ জুন ষষ্ঠ নিয়োগে সুপারিশের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ। তবে সে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের জন্য প্রার্থীর বয়সসীমা বিজ্ঞপ্তির তারিখ সর্বোচ ৩৫ বছর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী রুহুল আমিন আরাফতসহ ৬৫ জন প্রার্থী আবেদনের সুযোগ না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল (৮ জুলাই) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৮তম নিবন্ধন সনদধারী ৬৫ প্রার্থীকে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। আজ (৯ জুলাই) ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত ‘নো’ অর্ডার আদেশ দেন। পাশাপাশি এই ৬৫ জনের আবদনের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর বয়সের শর্তটি শিথিলের আদেশ দেন।
গত বছরের ১২ ও ১৩ জুলাই ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। তাদের মধ্যে ৮১ হাজার ২০৯ জন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন।
এমএইচডি/এমএন