অভিযোগ তদন্তে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা থাকবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করার জন্য সরাসরি সব পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওপর ন্যস্ত করার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কার কমিশন।
গত ২৩ জুলাই পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়ার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়।
সোমবার (২৮ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সেখানে বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা বা তাদের প্ররোচনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধান নিজেই যাতে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়েও একটি মানবাধিকার সেল কার্যকর থাকার বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করেছে।
আরও পড়ুন
সংবিধান, বিভিন্ন আইন এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পুলিশ কর্তৃক অমান্য করার দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে তাৎক্ষণিক প্রতিকার পাওয়ার জন্য নতুন হেল্পলাইন চালু করা কিংবা ৯৯৯ কর্তৃক সেবার মধ্যে এ ধরনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষার জন্য একটি সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা উচিত, যা জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।
কমিশন গঠিত হওয়ার পর নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এবং মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
বর্তমানে পুলিশ সদর দপ্তরে স্থাপিত আইজিপি কমপ্লেইন সেলে মানবাধিকারসহ পুলিশ সদস্য কর্তৃক সংঘটিত যেকোনো অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা যায়। অনুরূপ সেল র্যাবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে স্থাপন করতে হবে।
পুলিশের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং জনবান্ধব পুলিশ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে র্যাবের (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন) অতীত কার্যক্রম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ পর্যালোচনা করে এর প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্রজনতাকে হত্যা ও আহত করার জন্য দোষী পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এএসএস/এসএসএইচ