বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
প্রথম আলো
গণভোট, জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে করা নিয়ে আলোচনা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন প্রশ্নে গণভোট করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। গতকাল রোববার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সমকাল
প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত, নতুন এসেছে সোয়া লাখ রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গা তরুণী উম্মে সলিমার (১৮) তাঁর মা সবুরা খাতুনকে নিয়ে কক্সবাজারে লেদা ক্যাম্পে মাথা গোঁজার ঠাঁই হয়েছে। মাস দুয়েক আগে মিয়ানমারের মংডুর আশিকখ্যাপাড়ার নিজ ভিটেমাটি ছেড়ে তারা এসেছেন বাংলাদেশে। তাঁর খালা রমিজা খাতুন কয়েক বছর ধরেই লেদার আশ্রয় শিবিরে রয়েছেন। আরাকান আর্মির হাতে নিহত হয়েছেন সলিমার বাবা মো. হোসেন।
আজকের পত্রিকা
গণভোট বা বিশেষ আদেশে হতে পারে সনদ বাস্তবায়ন
জুলাই সনদের আইনি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করতে গণভোট অথবা বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ (স্পেশাল কনস্টিটিউশনাল অর্ডার) গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গণভোটের মাধ্যমে করতে চাইলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে এই ভোটের আয়োজন করা যেতে পারে।
রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত নিতে আলোচনার আয়োজন করা হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই আয়োজনে চার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অংশ নেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
প্রথম আলো
তিন বছরে দারিদ্র্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮%, খাবারের পেছনে খরচ ৫৫%
তিন বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য কমেনি, উল্টো বেশ বেড়েছে। দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২৭ দশমিক ৯৩ বা প্রায় ২৮ শতাংশ। সরকারি হিসাবেই ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৮ দশমিক ৭।
আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিশিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) এক গবেষণায় দারিদ্র্য বৃদ্ধির এই চিত্র ওঠে এসেছে। ‘ইকনোমিক ডায়নামিকস অ্যান্ড মুড অ্যাট হাউজহোল্ড লেবেল ইন মিড ২০২৫’ শীর্ষক গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
কালের কণ্ঠ
সংস্কারের ৫ প্রকল্প উপেক্ষিত
শাসনব্যবস্থা, রাজস্ব আহরণ, সরকারি বিনিয়োগ, ক্রয় ও পরিসংখ্যান খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার পাঁচটি বড় প্রকল্প একনেক সভায় দুই মাস আগে অনুমোদন পায়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর সবখানেই সংস্কারের ছোঁয়া লাগার কথা। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সরকারি আদেশ জারি না হওয়ায় এই পাঁচটি প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।
প্রথম আলো
জটিল হয়ে গেছে রোহিঙ্গা সংকট
রাখাইনে গণহত্যা থেকে প্রাণে বাঁচতে আট বছর আগের এই দিনে বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল রোহিঙ্গাদের ঢল। তাদের আর নিজ দেশে ফেরানো যায়নি। দুবার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছিল, তবে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। বরং গত দেড় বছরে নতুন করে এসেছে ১ লাখ ২৪ হাজার রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গাদের নিজস্ব আবাস মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্ষমতার সমীকরণ বদলে গেছে। সেই সঙ্গে আঞ্চলিক আর বৈশ্বিক নানা কারণে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে রোহিঙ্গা সংকট।
কালের কণ্ঠ
গ্যাসসংকটে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রপ্তানি
দেশের রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত তৈরি পোশাক শিল্পসহ বস্ত্র খাতের কারখানাগুলোয় এখনো কাটেনি গ্যাসসংকট। এতে উদ্বিগ্ন শিল্পোদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকরা। ধারাবাহিকভাবে দেশীয় গ্যাসের উত্তোলন কমতে থাকায় শিল্প-কারখানায় গ্যাসসংকট কাটাতে অন্তর্বর্তী সরকার বাড়তি এলএনজি আমদানি শুরু করে। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।
প্রথম আলো
২২ বস্তিতে মাদকের আখড়া, ভাগ যায় পুলিশের পকেটেও
গাজীপুরের টঙ্গী বাজারসংলগ্ন হাজি মাজার বস্তি। ঢুকতেই দেখা গেল বাঁশ-টিনের তৈরি ছোট ছোট অসংখ্য ঘুপচি ঘর। একটা আরেকটার গা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। সরকারি জমিতে গড়ে ওঠা এই বস্তি গাজীপুরে মাদক বিক্রির সবচেয়ে বড় আখড়া হিসেবে পরিচিত।
ইত্তেফাক
বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু
দেশব্যাপী অসংক্রামক ব্যাধি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে। পাশাপাশি একই হারে বাড়ছে মৃত্যু। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, মানুষ একটু স্বাস্থ্যসচেতন হলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া কিংবা তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অসংক্রামক ব্যাধিতে যে হারে মৃত্যু হচ্ছে, তা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য গবেষকদের ভাবিয়ে তুলছে। সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে চিকিৎসক ও গবেষকরা জানিয়েছেন। তাদের সামনে এখন অতীব জরুরি হচ্ছে দেশের মানুষকে অসংক্রামক ব্যাধি থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়। অসংক্রামক ব্যাধি ব্যয়বহুল চিকিৎসা। অনেক রোগী এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারে না। চিকিত্সাখরচের জোগান দিতে অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। রোগীর পরিবার আর্থিক সংকটে পড়ে যায়। আবার অনেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ করে নিজের ভাগ্য আল্লাহর ওপর ছেড়ে দেয়।
কালবেলা
স্বাস্থ্যের কেনাকাটায় অস্বাস্থ্যকর চর্চা
বলা হয়ে থাকে—‘স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল’। অথচ বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় সেই স্বাস্থ্য খাতই যেন ‘সব অনর্থের মূল’-এ পরিণত হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা, নিম্নমানের সরঞ্জাম সরবরাহ, বিপুল সরঞ্জাম দিনের পর দিন গুদামে পড়ে থেকে নষ্ট হওয়া, পণ্য বুঝে না পেয়েও ঠিকাদারের অর্থ পরিশোধ, প্রতিযোগিতা ছাড়াই একক দরদাতার মাধ্যমে কেনাকাটাসহ নানা অনিয়মে জর্জরিত জাতীয় বাজেটে সরকারের সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ খাতের একটি এই স্বাস্থ্য খাত। এতে শুধু যে সরকারি বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে তা নয়, চিকিৎসাসেবার মানের অবনমন ও রোগীর নিরাপত্তাও হুমকির মুখে ফেলছে।
যুগান্তর
জব্দ হিসাব খুলে একশ কোটি টাকা উত্তোলন
টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ক্ষমতার দাপটে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর শিল্পমালিকদের জব্দ ব্যাংক হিসাব খুলে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশও নেওয়া হয়নি। অভিযোগ উঠেছে-বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অনৈতিক কাজটি করেছেন বিএফআইইউ প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম। এই সুযোগে ওরিয়ন গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট রেজাউল করিম এবং এনা গ্রুপের এনায়েত উল্ল্যাহ খন্দকার তাদের ব্যাংক হিসাব থেকে শতকোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছেন বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশের প্রধান আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তার এমন কাজে অনুসন্ধানের উদ্যোগ নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের তদন্ত করছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। খোদ বিএফআইইউ-এর তদন্ত ও দুদক সূত্রে ভয়ংকর এসব তথ্য উঠে এসেছে।
