বৃষ্টি-যানজটে দুর্ভোগ রাজধানীবাসীর

সকাল থেকেই রাজধানী জুড়ে বৃষ্টি। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এমন বৃষ্টিতে কেউ বের হতে চাইবেন না। তবে বৃষ্টির অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই কর্মজীবীদের। অনিচ্ছা থাকার পরও তাদের বের হতে হয়েছে অফিসের উদ্দেশে।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টি। এর ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। বৃষ্টি-যানজট সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের।
মঙ্গলবার (২২ জুন) রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র যানজটের কারণে গণপরিবহন সামনে এগোচ্ছে না। এক মিনিট চললেও তা আবার থেমে যাচ্ছে। আবার গণপরিবহন পেতেও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে অনেককে।
বাস চালক, হেলপার ও সাধারণ মানুষের ভাষ্য, শহরে এমনিতে যানজট থাকে। তার ওপর সকাল থেকে টানা বৃষ্টি দুর্ভোগের পরিমাণটা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফার্মগেট এলাকায় কথা হয় মিরপুরের জাকির হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, বৃষ্টির কারণে অনেক রাস্তায় পানি জমে আছে। এতে বাসগুলোও আটকে আছে। ফলে কিছুটা বাস সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এখন সময়মত অফিসে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কায় আছি।

আরমান হোসেন নামে আরেকজন বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে বাস পেতেই খুব ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট আসতে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো সময় লেগেছে। এদিকে কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারার সামনে বাসের জন্য অপেক্ষারত এক যাত্রী জানান, আধঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেও কাঙ্ক্ষিত বাসের দেখা মিলছে না।
শিকড় পরিবহনের চালক ইদ্রিস বলেন, সায়দাবাদ থেকে কারওয়ান বাজার আসতে আড়াই ঘণ্টার মতো সময় লাগছে। বৃষ্টি, বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা একসঙ্গে হওয়ার কারণে এমন দুর্ভোগ।
ট্রাস্ট পরিবহনের হেলপার সাজু বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি। জায়গা জায়গায় পানি জমে গেছে। রাস্তায় বাসও কম। এখনও অনেক গাড়ি তো বেরও হয় নাই। তবুও দেখেন রাস্তায় জ্যাম, গাড়ি চলছে না।
ফার্মগেট এলাকায় কথা হয় ট্রাফিক (সার্জেন্ট) আব্দুল ওয়াহাবের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যে দায়িত্ব পালনে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় সকাল থেকে অন্য দিনের তুলনায় যানজট একটু বেশি।
এনআই/এমএইচএস