কেরানীগঞ্জে তাবলিগের জোড়ে লাখো মুসল্লির ঢল

ঢাকার কেরানীগঞ্জে তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সাদের অনুসারীদের) আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা চলছে। গত শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল থেকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার শাক্তা ইউনিয়নের মিকাইল এলাকায় শুরু হওয়া এ জোড় ইতোমধ্যে লাখো মুসল্লির সমাগমে পরিণত হয়েছে। প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ।
রোববার (৯ নভেম্বর) তাবলিগের মাওলানা সাদের অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরও বলা হয়, ইজতেমা ময়দানে তাবলিগের দিল্লির নিজামুদ্দিন বিশ্ব মারকাজের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভির দুই ছেলে ও মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেবের নেতৃত্বে তাবলিগের শীর্ষ ১৫ জন মুরব্বি উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের বহু বিদেশি মেহমানও অংশ নিয়েছেন।
মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি শনিবার বাদ মাগরিব থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দীর্ঘ বয়ান রাখেন। তার ছোট ছেলে মাওলানা সাঈদ বিন সাদ কান্ধলভিও বয়ান করেছেন। ইজতেমায় দেশের ৬৪ জেলা থেকে তাবলিগের চার মাস সময় দেওয়া সাথী, ৪০ দিন থেকে এক বছর সময় লাগানো আলেম-উলামারা অংশ নিচ্ছেন। জোড় শেষে দেশ-বিদেশে জামাত পাঠিয়ে বিশ্ব ইজতেমার দাওয়াত দেওয়া হবে।
কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি ও ময়দান তৈরির জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মহিবুল্লাহ বলেন, পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড় তাবলিগ জামাতের একটি ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ দ্বীনি আয়োজন। এর সফলতার ওপর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি ও আগামী এক বছরের দাওয়াতি কাজের অগ্রগতি নির্ভর করে। আমরা সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে এবার কেরানীগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে জোড় আয়োজন করছি। সারা দেশের কয়েক লাখ তিন চিল্লার সাথী এতে শরিক হয়েছেন।
তাবলিগ জামাতের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, এবারের জোড়ে ২০টি দেশের প্রায় ৬০০ বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলায় দাওয়াতি কাজ করবেন। প্রায় এক লাখ সাথী এই জোড় ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন।
ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন শেষে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, লাখো মুসল্লির নিরাপত্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের টিমও মাঠে কাজ করছে। বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতায় বিশেষ ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।
এমএম/এসএসএইচ